নীলদর্পন নাটকে সমকালীন সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনের কী পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তর:
বাংলা তথা ভারতের শিক্ষিত সমাজ এদেশীয় অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার এবং ইংরেজদের অত্যাচর, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সােচ্চার হয়েছিলেন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাহিত্যের মধ্যদিয়ে তাঁদের প্রতিবাদগুলি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। নীলদর্পন নাটক ছিল এই ধরণের একটি সাহিত্য।
প্রকাশক ও প্রকাশকাল: বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে নীলদর্পন নাটকটি রচনা করেন। যদিও সরকারী কর্মচারী হওয়ায়। রােষানলের ভয়ে নিজ নামে নাটকটি প্রকাশ করেন নি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত পাদরি লং সাহেবের নামে নাটকটির ইংরেজী অনুবাদ করেন। এটিই ছিল বিদেশী ভাষায় অনুদিত প্রথম বাংলা নাটক।। |
বিষয়বস্তু: ঊনিশ শতকের বাংলার ইংরেজ শাসন, শােষণ ও অত্যাচারের মর্মস্পর্শী চিত্র ধরা পড়েছে নীলদর্পন নাটকে। এই নাটকে সাধারণ মানুষ, প্রজা, নীলচাষীদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযােগ, নারীহত্যা, নির্যাতনের করুণ কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সাহেবদের পাশাপাশি তাদের মদনপুষ্ট দেশীয় আমিন, গােমস্তা, পুলিশ ও সরকারী কর্মচারীদের কথা, তকালীন সমাজের আইন আদালতের চিত্র ফুটে উঠেছে।
গুরুত্ব : নীলদর্পনে নীলকরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বাঙ্গালীর আন্দোলনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এই কাহিনী অবশ্যই ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিল একথা অনস্বীকার্য।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।