নিরপেক্ষ বচনগুলির কোন্ পদ কাকে ব্যাপ্য করে উদাহরণসহ আলােচনা করাে। Class 12 | Philosophy (বচন) 8 Marks
উত্তর:-
নিরপেক্ষ বচনগুলির ক্ষেত্রে ব্যাপ্যতার পরিচয়
আমরা জানি যে, নিরপেক্ষ বচন হল মােট চারটি—A, E, I এবং O। এখন চারটি নিরপেক্ষ বচনের পৃথক পৃথক দৃষ্টান্ত নিয়ে দেখা যাক যে, কোন বড় কোন্ পদটি ব্যাপ্য আর কোটি ব্যাপ্য নয়।
A বচনের ব্যাপ্যতা:
সকল মানুষ হয় মরণশীল। → A বচন।
এই A বচন তথা সামান্য সদর্থক বচনটির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, উদ্দেশ্যপদ নয়। মানুষ তার পরিপূর্ণ ব্যার্থকে উল্লেখ করতে সমর্থ বলে, এই পদটি ব্যাপ্য। কিন্তু বিধেয় পদ তথা মরণশীল পদটি তার পরিপূর্ণ ব্যার্থকে উল্লেখ করতে সমর্থ নয় (কারণ মানুষ ছাড়া আরও অনেক জীব আছে যারা মরণশীল) বলে বিধেয় পদটি অব্যাপ্য।
সিদ্ধান্ত : A বচন শুধুমাত্র উদ্দেশ্যকেই ব্যাপ্য করে, বিধেয়কে করে না।
E বচনের ব্যাপ্যতা:
কোনাে কবি নয় হামলাবাজ → E বচন
এই E বচন তথা সার্বিক না-বাচক বচনটির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, উদ্দেশ্য পদ তথা কবি পদটি তার পরিপূর্ণ ব্যার্থ বা পরিমাণকে নির্দেশ করতে সমর্থ বলে তা ব্যাপ্য আবার বিধেয় পদ তথাহামলাবাজপদটিও সামগ্রিকভাবে তার সমগ্র ব্যার্থকে উল্লেখ করতে সমর্থ হয়েছে। সুতরাং বিধেয় পদটিও এখানে ব্যাপ্য৷
সিদ্ধান্ত: E বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয়—উভয় পদই ব্যাপ্য।
I বচনের ব্যাপ্যতা:
কোনাে কোনাে সাধু হয় সরলমতি → I বচন
এই I বচন তথা বিশেষ হ্যাঁ-বাচক বচনটিতে দেখা যায় যে, উদ্দেশ্য পদ তথা সাধু এবং বিধেয় পদ তথা সরলমতি—কোনাে পদই তার পরিপূর্ণ পরিমাণকে নির্দেশ করতে পারে না বলে, এই উভয়পদই অব্যাপ্যরূপে গণ্য।
সিদ্ধান্ত: I বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়—কোনাে পদই ব্যাপ্য নয়।
O বচনের ব্যাপ্যতা:
কোনাে কোনাে মানুষ নয় সৎ → O বচন।
এই O বচনটির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এখানে উদ্দেশ্য পদ তথা মানুষ পদটি তার সমগ্র পরিমাণ নির্দেশ করতে সমর্থ নয় বলে তা অব্যাপ্য রূপে গণ্য। কিন্তু বিধেয় পদ তথা সৎ পদটি সামগ্রিকভাবে তার ব্যাক্তার্থকে উল্লেখ করতে সমর্থ বলে, এই বিধেয় পদটি ব্যাপ্য।
সিদ্ধান্ত: O বচন শুধুমাত্র বিধেয়কে ব্যাপ্য করে, উদ্দেশ্যকে করে না।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।