নদী ও হিমবাহের কাজের পার্থক্য লেখাে। Class 10 | Geography | 5 Marks
উত্তর:-
নদী ও হিমবাহের কাজের পার্থক্য : নদী ও হিমবাহের কাজের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল—
বিষয় | নদীর কাজ | হিমবাহের কাজ |
কার্যস্থল | বরফাবৃত অঞল ছাড়া সব জায়গায় নদীর কাজ দেখা যায়। | নিম্ন অক্ষাংশের উচ্চ পার্বত্য অঙুলে এবং উচ্চ অক্ষাংশের মেরু ও মেরুসংলগ্ন অঞ্চলে হিমবাহের কাজ লক্ষ করা যায়। |
প্রবাহপথের বিভাজন | উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন এই তিনটি প্রবাহে নদী স্বতন্ত্র ধরনের কাজ করে। | হিমবাহের প্রবাহপথের কোনাে নির্দিষ্ট ভাগ নেই। |
কাজের গতি | নদী দ্রুতগতিতে প্রবাহিত হয় বলে কাজের গতিও দ্রুত। | হিমবাহের গতি ধীর, তাই কাজের গতিও মন্থর। |
ক্ষয়কাজের মাধ্যম | নদীর ক্ষয়কাজের মাধ্যম পাঁচটি, এগুলি হল — 1.ঘর্ষণ ক্ষয়, 2.অবঘর্ষ ক্ষয়, 3.জলপ্রবাহ ক্ষয়, 4.বুদবুদ ক্ষয় এবং 5.দ্রবণ ক্ষয়। | হিমবাহের ক্ষয়কাজের মাধ্যম দুটি হল— 1. উৎপাটন ক্ষয় এবং 2. অবঘর্ষ ক্ষয়। |
ক্ষয় পদ্ধতি | নদী যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে। | হিমবাহ শুধু যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে। |
কাজের ভিত্তি | নদীর কাজ নির্ভর করে প্রধানত ভূমির ঢাল, শিলাস্তরের প্রকৃতি এবং নদীতে জলের পরিমাণের ওপর। | হিমবাহের কাজ নির্ভর করে মূলত বরফের পরিমাণ ও শিলাস্তরের প্রকৃতির ওপর। |
গতিপথের প্রকৃতি | নদীর গতিপথ সাধারণত আকাবাকা হয়। | হিমবাহের কাজ হিমবাহের গতিপথ সাধারণত সােজা হয়। |
উপত্যকার আকৃতি | নদী উপত্যকা ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির এবং উপত্যকা গাত্র এবড়ােখেবড়াে বা অমসৃণ হয়। | হিমবাহ উপত্যকা ‘U’ আকৃতির এবং উপত্যকা গাত্র মসৃণহয়। |
ক্ষয়জাত পদার্থের আকৃতি | নদীর ক্ষয়জাত পদার্থগুলি গােলাকার ও মসৃণ হয়। | হিমবাহের ক্ষয়জাত পদার্থগুলি কোণাকৃতি ও অমসৃণ হয়। |
সঞ্চয়স্থল | নদী তার বাহিত পদার্থগুলিকে ভারী থেকে হালকা এইভাবে নদীখাতে সঞ্চয় করতে করতে এগিয়ে যায়। | হিমবাহবাহিত বিভিন্ন প্রকার পদার্থ তার গতিপথের বিভিন্ন অংশে একইসঙ্গে সঞ্চিত হয়। |
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
Too much helpful .
Thanks a lot .
Too much helpful .
Thanks a lot