‘পিয়া-মুখ-দরশনে তত সুখ ভেল।/আঁচর ভরিয়া যদি মহানিধি পাই।’—আঁচর’ ও ‘মহানিধি’ শব্দ দুটির অর্থ কী? উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো । MARK 2 + 3 = 5 | Class 11 Bengali | ভাব সম্মিলন
উত্তর :
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশের ‘আঁচর’ শব্দের অর্থ আঁচল এবং ‘মহানিধি’ শব্দের অর্থ মূল্যবান রত্ন।
→ পাঠ্য বিদ্যাপতির ‘ভাব সম্মিলন’ নামক পদে দেখা যায়, শ্রীকৃয় বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরা গমন করলে রাধার বিরহ শুরু হয়। এই বিরহ ও বিকারের আবেশে রাধা কল্পনার মাধ্যমে কৃয়-সঙ্গসুখ উপভোগ করছেন—একেই ভাব সম্মিলন বা ভাবোল্লাস নাম দেওয়া হয়েছে। কৃয়সঙ্গ থেকে বঞ্চিত থাকার কালে চন্দ্রকিরণ শ্রীরাধিকার মনে কামবেগ (মিলনেচ্ছা) জাগ্রত করেছিল। অর্থাৎ পাপী চাঁদ শ্রীরাধিকাকে যে দুঃখ দিয়েছিল তা পিয়ামুখ দরশনে মুক্ত হয়েছিল। ভাব সম্মিলনে কৃসঙ্গ লাভে আপ্লুতা শ্রীরাধিকা তাই বলেছেন, আঁচল ভরে কেহ যদি তাঁকে মূল্যবান রত্নরাজিও দেয়, তবে তিনি তাঁর প্রিয়কে আর দূরদেশে পাঠাবেন না। বৈষ্ণব পদকর্তারা রাধার বিরহযন্ত্রণা অনুভব করেই এই ভাব সম্মিলনের পদ সৃষ্টি করেছেন।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।