পয়ার কী? পয়ারের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
Ans:
পয়ার নামটির উৎপত্তি নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। অনেকেই মনে করেছেন পাঁচালি শব্দটির সঙ্গে পারের যােগ আছে। পন্ডিত রামগতি ন্যায়রত্নের মতে “পয়া’শব্দ থেকে পয়ার শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে। তাই পয়ার শব্দের অক্ষর গত অর্থ পাদ অর্থাৎ চরণ।
পয়ার দ্বিপদী ছন্দ। আট ও ছয় মাত্রার দুই পর্বের পয়ার বাংলা কাব্যে মধ্যযুগ থেকেই প্রচলিত আছে। পরের দিকে পয়ার আট ও দশ মাত্রার দুটির পর্বের রূপকল্পে ও পাওয়া যায়।
পায়ারের বৈশিষ্ট্য:
1. পয়ারে দুটি চরণ থাকে।
2. দুটি চরণের শেষে মিল থাকে।
3. প্রতি চরণে ৪+6মাত্রার দুটি পর্ব থাকে।
4. প্রতি চরণের শেষে ভাবের সামগ্রিক প্রকাশ ঘটে। কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে আংশিক প্রকাশ ঘটে।
5. 8(আট)মাত্রার পরে বসে হ্রস্বতা এবং 2য় পর্বের শেষে অথাৎ14মাত্রার পরে বসে পূর্ণ যতি ও পূর্ণচ্ছেদ।
6. পয়ার অক্ষরবৃত্ত রীতির সব নিয়ম পয়ার মেনে চলে। এর গতি ধীর। মাত্রা গণনা পদ্ধতি মুক্ত 1,রুদ্ধ অক্ষর শব্দের প্রথমে 1,মাঝে 1,শেষে 2,একক রুদ্ধ অক্ষর মাত্রা 2 l
সুতরাং বলা যায়, অক্ষরবৃত্ত রীতিতে লেখা ৪(আট)+6 মাত্রার দুই পর্বের চরণ যুক্ত, অন্ত্যমিল সমন্বিত দুই চরণের শেষে যেভাবে ভাবের আংশিক ও সামগ্রিক প্রকাশ ঘটে, তারই নাম পয়ার। যেমন —
এনেছিলে সাথে করে / মৃত্যুহীন প্রাণ = ৪+6
মরণে তাহাই তুমি / করে গেলে দান = 8+6
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।