পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব’ কেন ঘটে

প্রথম দিকে ইংরেজ কোম্পানী সরকার ভারতে শিক্ষার প্রসার বিষয়ে উদাসীন ছিল। তবে বিভিন্ন প্রয়ােজনে শিক্ষার প্রসার ঘটতে থাকে। ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে চার্টার অ্যাক্টে সরকার ভারতে শিক্ষার প্রসারের জন্য প্রতি বছর এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু এই টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে ব্যয় করা হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ ছিল না। ফলে উক্ত টাকা। কোন্ শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হবে তাকে কেন্দ্র করে এক বিতর্ক শুরু হয়। যা ইতিহাসে ‘প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব’ নামে পরিচিত।

| যারা উক্ত টাকা দেশীয় ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটানাে হােক বলে। দাবী করেন তাঁরা প্রাচ্যবাদী নামে পরিচিত। প্রাচ্যবাদীদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন এইচ.টি.প্রিন্সেপ, কোল ব্রক, উইলসন, রাধাকান্ত দেব প্রমুখ।। | যারা ইংরেজী মাধ্যমে শিক্ষার চর্চার কথা বলেন তারা পাশ্চাত্যবাদী নামে পরিচিতি লাভ করেন। এই পাশ্চাত্যবাদীদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন লর্ড মেকলে, চার্লস গ্র্যান্ট, রাজা রামমােহন রায় প্রমুখ।

ভারতে প্রাচ্যবাদী-পাশ্চাত্যবাদী বিতর্কের অবসান ঘটে ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে মেকলে মিনিটের দ্বারা। কেননা মেকলের প্রস্তাবকে মেনে নিয়ে ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্ক শিক্ষায় ইংরেজ ভাষার প্রসারকে সরকারি নীতি বলে ঘােষণা করেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment