অথবা, “এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ঘটনাটির উল্লেখ করাে
উত্তর – আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল তপন। সে এক সময় একটি গল্প লেখে। সদ্য বিবাহিতা বন্ধুতুল্য ছােটোমাসির মারফৎ গল্পটি অধ্যাপক, লেখক ছছাটোমেসাের হাতে পৌঁছায়। তিনি তপনের লেখার প্রশংসা করেন, তপনকে লেখার উৎসাহ দেন এবং লেখাটিকে ছাপার জন্য নিয়েও যান। কিছুদিন পরে সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখাটি ছাপা হয়। পত্রিকায় গল্প ছাপার এবং সেটি হাজার হাজার পাঠকের হাতে ঘুরবে, এই বিষয়টিকেই তপনের অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছে।
তপন ছিল বেশ ছােটো। তার ধারণা ছিল লেখকরা আর পাঁচটা মানুষের। মতাে নয়, তারা ভিন্ন গ্রহের জীব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে লেখকদের কোনাে। মিল নেই। তাই ইচ্ছা থাকলেও তার লেখক হবার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব নয় বলে। সে মনে করতাে। কিন্তু ছােটো মেসােকে দেখে তার ভুল ভাঙে। সে প্রত্যক্ষ। করে লেখকরাও বাবা-কাকার মতােই একজন মানুষ। মাসির আবদারে মেসাে। তপনের লেখাটি পত্রিকায় ছাপার জন্য নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকাতে ছাপাও হয়। নিজের লেখা ছাপা হয়েছে ভেবেই তপন বিষয়টিকে অলৌকিক মনে করেছে। কারণ সে কখনাে ভাবতে পারেনি তার কাঁচা হাতে লেখা । পত্রিকায় ছাপা হবে এবং সেটি হাজার হাজার পাঠকের হাতে ঘরে বেড়াবে।
Read Also
জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পে মেসােমশাইয়ের চরিত্র আলােচনা করাে।
পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে – অলৌকিক ঘটনাটি কী? একে অলৌকিক বলার কারণ কী?
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।