প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বসু স্মরণীয় কেন? অথবা,মজফফরপুর ঘটনা কী? 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : বিশ শতকের প্রথম ভাগে যে সমস্ত বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে মাতৃভূমির মুক্তিসাধনের লক্ষ্যে আত্মত্যাগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বসুর অবদান চিরস্মরণীয়। অল্প বয়সেই তাঁরা গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের সংস্পর্শে আসেন।
প্রেক্ষাপট : বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলায় বিপ্লবী কার্যকলাপ জোরদার হয়ে উঠলে যুগান্তর দল সরকারি কর্মচারীদের বােমা মেরে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এই সময় কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মজফফরপুর ঘটনা : কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগান্তর দলের তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকির ওপর, কিন্তু এই সময়ে নিরাপত্তার কারণে কিংসফোর্ডকে কলকাতা থেকে মজফফরপুরে বদলি করা হয়। বিপ্লবীরাও মজফফরপুরে এসে কিংসফোর্ডের গাড়ির ওপর বােমা মারতে গিয়ে ভুলবশত জনৈক ইংরেজ ব্যারিস্টার মিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও তার কন্যাকে বােমা মেরে হত্যা করেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে প্রফুল্ল চাকি নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন এবং ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, বিচারে তার ফাঁসি হয় (১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট)।
উপসংহার : মাতৃভূমির মুক্তিসাধনের উদ্দেশ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরামের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।