আবর্তন কাকে বলে? প্রমাণ করাে যে, 0 বচনের আবর্তন আদৌ সম্ভব নয়। 2+6 Class 12 | Philosophy (দর্শন) | 8 Marks
উত্তর:-
আবর্তন : যে অমাধ্যম অনুমানে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য এবং বিয়ের স্থানপরিবর্তন। ঘটিয়ে এবং অর্থটিকে এক রেখে সিদ্ধান্তে একটি নতুন বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেই অমাধ্যম অনুমানকেই বলা হয় আবর্তন (conversion)।
আবর্তনের ক্ষেত্রে মােট দুটি নিরপেক্ষ বচন থাকে। এই দুটি বচনের একটি হল যুক্তিবাক্য এবং অপরটি হল সিদ্ধান্ত।
আবর্তনের যুক্তিবাক্যকে বলা হয় আবর্তনীয় (convertend) এবং সিদ্ধান্তকে বলা হয় আবর্তিত (converse)। আবর্তনীয় থেকে আবর্তিত বচনটি সরাসরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
O বচনের আবর্তন আদৌ সম্ভব নয় : কোনাে নিরপেক্ষ বচনের আবর্তন করতে হলে আবর্তনের নিয়মগুলিকে যথাযথভাবে ভাবে অনুসরণ করতে হয়। আবর্তনের ক্ষেত্রে যে চারটি নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলিকে যদি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় তাহলে বর্তন প্রক্রিয়াটি যথার্থ বলে গণ্য হয়। আর নিয়মগুলিকে যদি যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হয়, তাহলে তা অযথার্থরুপে গণ্য হয়। এখন দেখা যেতে পারে যে, O বচনের আবর্তন করলে আবর্তনের চারটি নিয়মকেই যথাযথভাবে অনুসরণ করা যায় কি না।
উদাহরণ |
| ||||||
ব্যাখ্যা | এখন দেখা যাক O বচনের আবর্তনের ফলে O বচনকে সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলে আবর্তনের নিয়মগুলি যথাযথভাবে মানা হয়েছে কি না | প্রথম নিয়ম অনুসারে দেখা যায় যে, যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্যটি সিদ্ধান্তে বিধেয় হয়েছে। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে দেখা যায় যে, যুক্তিবাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যরূপে গণ্য হয়েছে। তৃতীয় নিয়ম অনুসারে দেখা যায় যে, যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়েই নঞর্থক বচনরূপে গণ্য হওয়ায় উভয়ের গুণও এক হয়েছে। অর্থাৎ, এখানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়—আবর্তনের এই তিনটি নিয়মই যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। |
O বচনের আবর্তনে চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত : কিন্তু সমস্যা হল আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটিকে নিয়ে। কারণ, এখানে আবতনের চতুর্থ নিয়মটিকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আবর্তনের চতুর্থ নিয়মে বলা হয়েছে যে—যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য নয়, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। এখানে কিন্তু বচনটি O বচন হওয়ায় তা শুধুমাত্র বিধেয় পদটিকেই ব্যাপ্য করে, কখনােই উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে না | এর ফলে দেখা যায় যে, যুক্তিবাক্যে O বচনটির উদ্দেশ্য পদ তথা মানুষ পদটি ব্যাপ্য নয়। কিন্তু আবর্তনের ফলে সিদ্ধান্তে ওই মানুষ পদটিই O বচনের বিধেয় স্থানে অবস্থান করায় তা ব্যাপ্য হয়েছে। অর্থাৎ, আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি এখানে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর অন্য কোনাে বিকল্প পথেও O বচনের আবর্তন সম্ভব নয়। সুতরাং দাবি করা যায় যে, O বচনের আবর্তন আদৌ সম্ভব নয়।
O বচনের আবর্তনের বিকল্প পথটিও রুদ্ধ : আবার বিকল্প একটি পদ্ধতিতে যদি A বচনের অসরল আবর্তনের ন্যায় পরিমাণের পরিবর্তন ঘটিয়ে, O বচন থেকে E বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়; তাহলেও সেখানে এই চতুর্থ নিয়মটি লজ্জিত হয়। তা ছাড়াও উল্লেখ করা যায় যে, বিশেষ যুক্তিবাক্য থেকে যদি সামান্য সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে সেই যুক্তিটি অবরােহ যুক্তিরূপে আর গণ্য হতে পারে না। এরূপ যুক্তিটি তখন আরােহ যুক্তিরূপেই গণ্য হয়। অর্থাৎ, O বচনের আবর্তনের বিকল্প পথটিও রুদ্ধ l অতএব প্রমাণিত হয় যে, O বচনের আবর্তন আদৌ সম্ভব নয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।