রাজস্থান সমভূমির অবস্থান ও ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে। রাজস্থান সমভূমিকে কী কী বিভাগে ভাগ করা যায়? 3+2 Class 10 | Geography | 5 Marks
উত্তর:-
রাজস্থান সমভূমির অবস্থান : আরাবল্লি পর্বতের পশ্চিমে রাজস্থানের মধ্য ও পশ্চিমাংশের রুক্ষ ও শুষ্ক বালিপূর্ণ মরুময় সমতল এলাকাটি রাজস্থান সমভূমি নামে পরিচিত।
রাজস্থান সমভূমির ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য : 1. চরম জলবায়ু ও দুস্তর বালুকাভূমি এই অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। 2. এই অঞ্চলটির ঢাল দু-দিকে—পশ্চিমে এবং দক্ষিণে। 3. এখানকার উচ্চতা পূর্বে 325 মি এবং পশ্চিমে (পাকিস্তান সীমান্তে) 150 মি। 4. বৃষ্টিপাতের অভাবে এখানে নদী বিশেষ নেই, একমাত্র উল্লেখযােগ্য নদী লুনি (এর জল লােনা)। 5. এখানে কয়েকটি লবণাক্ত হ্রদ আছে। যেমন—পাচপদ্রা, দিদওয়ানা, সম্বর প্রভৃতি। 6. এখানকার শুষ্ক অগভীর খাত বা হ্রদগুলিকে বলে ধান্দ। 7. মরুভূমি অংশে নানা ধরনের বালিয়াড়ি আছে। এর মধ্যে চলমান বালিয়াড়িগুলিকে বলে ধ্রিয়ান। ৪. রাজস্থান সমভূমির মধ্যে কোথাও কোথাও প্রস্রবণ দেখতে পাওয়া যায়। সুবিস্তৃত বালুকাময় ভূমির মধ্যে মরূদ্যান আছে, যেখানে খেজুর বা পাম-জাতীয় গাছের চাষ হয়।
রাজস্থান সমভূমির ভূপ্রাকৃতিক বিভাগ : ভূপ্রকৃতি অনুসারে রাজস্থান সমভূমিকে পাঁচটি অংশে ভাগ করা যায়—1. মরুস্থলী, 2. বাগার, 3. রােহি, 4. থালি এবং 5. ভাঙ্গার।
বিভাগ | অবস্থান |
মরুস্থলী | রাজস্থান সমভূমির একেবারে পশ্চিমে বালি, পাথর, বালিয়াড়ি, প্রভৃতি দ্বারা গঠিত অংশকে বলা হয় মরুথলী। মরুস্থলীর পূর্বভাগের বালি ও শিলাগঠিত অংশের নাম হামাদা। |
বাগার | মরুথলীর পূর্ব দিকে লুনি নদী অববাহিকার সমতল, অপেক্ষাকৃত কম বালুময় মরুপ্রায় (semi-desert) তৃণভূমি (স্তেপ জাতীয়) অঙ্কুলের নাম বাগার। এই অংশে কিছু প্লায়া হ্রদ (স্থানীয় নাম সর’) দেখা যায়। |
রােহি | বাগারের পূর্বাংশে আরাবল্লি থেকে আগত ছােটো ছােটো নদী দ্বারা সৃষ্ট উর্বর প্লাবনভূমির নাম রােহি l |
থালি | লুনি নদীর উত্তরাংশে স্থায়ী বালিয়াড়ি সমন্বিত বালুময় অঞলের নাম থালি। |
ভাঙ্গার | পাঞ্জাব সমভূমির দক্ষিণে মরুথলীর সীমান্ত বরাবর প্রাচীন পলিময় অঞ্চলের নাম ভাঙ্গার। |
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।