রৌরকেলা লােহা ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি আলােচনা করাে।

রৌরকেলা লােহা ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি আলােচনা করাে। Class 10 | Geography (ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ) | 5 Marks

উত্তর:-

রৌরকেলা লােহা ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণসমূহ 

অবস্থান: ভারত সরকারের উদ্যোগে এবং জার্মানির মানেসমান, কুপ, ডেমাগ প্রভৃতি কোম্পানির সহায়তায় ওডিশার সুন্দরগড় জেলার রৌরকেলায় ব্রাত্মণী নদীর উধ্বপ্রবাহে শঙ্খ নদীর কাছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের পাশে রৌরকেলা লােহা ও ইস্পাত কারখানাটি গড়ে উঠেছে।

স্থাপনকাল: এই কারখানাটি 1956 সালে স্থাপিত হয় এবং 1959 সাল থেকে এখানে উৎপাদন শুরু হয়।রৌরকেলা লােহা ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি হল— 

1. কাঁচামালের সুবিধা : ঝরিয়া, বােকারাে (ঝাড়খণ্ড); রানিগঞ্জ (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে কয়লা, কিরিবুরু, বােলানি, বারসুয়া (ওডিশা); গুয়া ও মেঘাহাতুবুর (ঝাড়খণ্ড) থেকে আকরিক লােহা, গাংপুর, বীরমিত্রপুর (ওডিশা); পূর্ণপাণি (ছত্তিশগড়) থেকে চুনাপাথর সম্বলপুর (ওডিশা), বড়ােদুয়ার (ছত্তিশগড়) থেকে ডলােমাইট এবং গাংপুর, কালাহাণ্ডি (ওডিশা) থেকে ম্যাঙ্গানিজ এই শিল্প স্থাপনে সহায়ক। 

2. জলের সহজলভ্যতা : ব্রাত্মণী ও শঙ্খ নদী এবং দক্ষিণ কোয়েল ও মন্দিরা জলাধারের জল শিল্পকেন্দ্রটির প্রয়ােজনীয় জলের চাহিদা মেটায়। 

3. বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান : হিরাকুদ প্রকল্পের জলবিদ্যুতের মাধ্যমে এই শিল্পকেন্দ্রের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হয়।

4. সুলভ শ্রমিক : স্থানীয় সুলভ ও দক্ষ শ্রমিক শিল্পকেন্দ্রটির প্রয়ােজনীয় শ্রমশক্তির চাহিদা মেটায়। কারণ এই অঞ্চল কৃষিতে অনুন্নত হওয়ায় জীবিকার মাধ্যম হিসেবে অনেকেই শিল্প শ্রমিকের। কাজ বেছে নেয়।

5. উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ ও পূর্ব উপকূল রেলপথ এবং NH-143 জাতীয় সড়কপথের মাধ্যমে কলকাতা, মুম্বাই ও অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে উন্নত যােগাযােগ এই শিল্পকেন্দ্রটি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ। 

অন্যান্য কারণ

1. বন্দরের অনুকূল অবস্থান : প্রায় 414 কিমি দূরে পারাদীপ বন্দর এবং 494 কিমি দূরে কলকাতা বন্দর অবস্থান করায় কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য রপ্তানিতে যথেষ্ট সুবিধা হয়।

2. উন্নত বাজার ও চাহিদা: পূর্ব ভারতে ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের বিকাশ এই শিল্পকেন্দ্রের উন্নতির সহায়ক হয়েছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment