স্বদেশি আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : বঙ্গভঙ্গ-বিরােধী আন্দোলনকালে বাংলায় প্রথম জাতীয় সংগ্রামের পরিসরে যুক্ত হয়।
অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক : বঙ্গভঙ্গ-বিরােধী আন্দোলনে নারী সমাজের অংশগ্রহণের উল্লেখযােগ্য দিকগুলি হল—
১. কর্মসূচির বাস্তবায়ন : বঙ্গভঙ্গ-বিরােধী আন্দোলনে শহরের নারীদের অনেকেই বিদেশি বস্ত্র, চুড়িসহ বিদেশি দ্রব্য সামগ্রি বর্জন করে এবং দেশি বস্ত্র ও দ্রব্য ব্যবহার শুরু করে।
২. অরন্ধন দিবস পালন : বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ার দিনে (১৬ অক্টোবর, ১৯০৫) কলকাতার নারী সমাজের এক বড়াে অংশ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদির আহ্বানে ‘অরন্ধন কর্মসূচি পালন করে বঙ্গভঙ্গকে ‘জাতীয় শােক’-এর পর্যায়ে উন্নীত করে।
৩. বিপ্লবী আন্দোলন : বঙ্গভঙ্গ-বিরােধী আন্দোলনের একটি পর্যায়ে গুপ্ত পথে বিপ্লবী আন্দোলনের সূচনা হলে বিপ্লবীদের আশ্রয়দান করে, গােপনে সংবাদ ও অস্ত্র সরবরাহ করে বেশ কিছু নারী এই আন্দোলনে অংশ নেয়। এ প্রসঙ্গে বিপ্লবী অমরেন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মেজোপিসি ননীবালা দেবীর নাম উল্লেখ্য।
৪. মতাদর্শ সার : বঙ্গভঙ্গ-বিরােধী আন্দোলনকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি সরলাদেবী চৌধুরানি ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নারীশক্তিকে উজ্জীবিত করে তােলেন এবং ‘বীরাষ্টমী ব্রত’, ‘প্রতাপাদিত্য ব্রত’ চালু করেন।
উপসংহার : তথাপি বলা যায়, বঙ্গভঙ্গকালে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল পরােক্ষ এবং তা ছিল ঘরােয়া অর্থাৎ, ঘরে বসেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।