“সে ভবিষ্যৎ ভ্যাও করে না ম্যাও করে না।” ভবিষ্যৎ ভ্যা বা ম্যা করে না কেন? Mark 5 | Class 11
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘কর্তার ভূত’ নামক উল্লিখিত বাক্যাংশে ‘সে ভবিষ্যৎ বলতে ‘ভূতশাসনতন্ত্র’-এর অন্তর্ভুক্ত বিচারবুদ্ধিহীন মানুষের ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে। কথােপকথনের ভঙ্গিতে চলিত ভাষায় লেখা হলেও তা একটা বাক্-বৈদগ্ধ এখানে লক্ষ করা যায়। রবীন্দ্রনাথ সূক্ষ্য ব্যঙ্গের ব্যবহারও করেছেন নিপুণ ভঙ্গিতে।
ভেড়া কিংবা ছাগলেরা পর্যন্ত ডাক দেয় কিন্তু ভূতের শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করে থাকা সাধারণ মানুষের মুখে রা পর্যন্ত নেই। তারা প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের মৃত সংস্কার আঁকড়ে থাকে, কোনাে প্রশ্ন করে না।
যা প্রচলিত, যা অপরিবর্তনীয় তার প্রতিই আসক্তি তাদের। তাই তারা ভাবে বুড়াে কর্তা চলে গেলে তাদের অবস্থা সঙ্গিন হয়ে উঠবে। দেশবাসীর কথা ভেবে কর্তা মহাশয়ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। সমস্যার সমাধান করতে ভগবান জানান যে, দেশবাসীর চিন্তার কিছু নেই, মৃত্যুর পরও কর্তা থাকবেন। ভূত হয়ে চিরদিন তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবেন, কারণ ভূতের মৃত্যু নেই। তাই ভবিষ্যতে ভূত থাকবে, ভূতশাসনতন্ত্রও থাকবে।
পরাধীন ভারতবর্ষের পটভূমিতে দেখলে ব্রিটিশ শাসনই হল কর্তার ভূত। এই শাসনতন্ত্রই ভারতবাসীকে কুসংস্কারের আবর্তে বীর্যহীন, প্রতিবাদহীন করে রেখেছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।