নেতিবাচক মনোভাব এবং স্কুল পালানাের কারণ ও প্রতিকারসমূহ

নেতিবাচক মনোভাব এবং স্কুল পালানাের কারণ ও প্রতিকারসমূহ Class 12 | Education (ভিন্ন ধরনের সক্ষমতার শিশুদের শিক্ষা) 4 Marks

উত্তর: শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যামূলক আচরণ হিসেবে নেতিবাচক মনোভাব,অবাধ্যতা। ও একগুঁয়েমির লক্ষণ। সমস্যামূলক শিশু শ্রেণিকক্ষে যে সমস্ত ব্যতিক্রমী আচরণ করে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল নেতিবাচক মনােভাব, অবাধ্যতা ও একগুঁয়েমি এবং স্কুল। পালানাে নীচে এ ধরনের আচরণের লক্ষণসমূহ উল্লেখ করা হল। 

নেতিবাচক মনোভাবের লক্ষণ

নেতিবাচক মনােভাব, অবাধ্যতা, একগুঁয়েমি প্রভৃতিকে শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যামূলক আচরণের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। অভিভাবকদের কথা না শােনা, তাদের পরামর্শে কোনাে গুরুত্ব আরােপ না করা, সর্বদা বিপরীত দিকে যাওয়ার মানসিকতাকে নেতিবাচক মনােভাব এবং অবাধ্যতা বলা হয়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা ভীষণ জেদি হয়| তারা ভালােমন্দ বিচার করে না, নিজেরা যা মনােস্থির করে তা করবেই, কোনােরকম অনুরােধে এরা কর্ণপাত করে না। 

নেতিবাচক মনোভাব এবং স্কুল পালানাের কারণ ও প্রতিকারসমূহ

শিক্ষার্থীর এই ধরনের আচরণের কারণগুলি না জানলে সেগুলি প্রতিকারের। উপায় নির্ধারণ করাও সম্ভব নয়। এখানে উক্ত সমস্যামূলক আচরণগুলির কারণ ও প্রতিকার উভয়ই উল্লেখ করা হল। 

নেতিবাচক মনোভাবের কারণ

এই ধরনের আচরণের প্রধান কারণগুলি হল — [1] অতি শাসন এবং নির্মম শাস্তি, [2] শিশুর কাজে সবসময় সমালােচনা, [3] বাড়িতে বাবা-মা বা অভিভাবকদের অবহেলা, মেহ- ভালােবাসার অভাব, বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের। অবহেলা, তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণ ইত্যাদি, [4] একাকিত্ব। 

নেতিবাচক মনোভাব প্রতিকারের উপায়

শিশুর অবাধ্যতা, একগুঁয়েমি ও নেতিবাচক মনােভাব দূর করার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকশিক্ষিকাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি মনােযােগী হওয়া প্রয়ােজন — [1] সন্তানকে সঙ্গ দেওয়া, সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানাে, [2] সামর্থ্য ও বয়স অনুযায়ী সন্তানের সাফল্য প্রত্যাশা করা, [3] প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের মনােযােগ প্রদান, তাদের বােঝানাে, উৎসাহদান এবং পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকা,[4] বিদ্যালয়ের নির্দেশনা ও পরামর্শদান বিভাগের সাহায্য নেওয়া এবং প্রয়ােজনমতাে মনােচিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ করা প্রভৃতি ।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment