Class 12 Class 12 Education শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ করাে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষণ যন্ত্র এবং দূরদর্শন সম্পর্কে আলােচনা করাে।

শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ করাে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষণ যন্ত্র এবং দূরদর্শন সম্পর্কে আলােচনা করাে।

শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ করাে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষণ যন্ত্র এবং দূরদর্শন সম্পর্কে আলােচনা করাে। Class 12 | Education (শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা) | 4 Marks

উত্তর:-

শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ 

শিক্ষাপ্রযুক্তিকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে। ম্যাকেঞ্জি (Mackerjee) এবং অন্যরা (1980) শিক্ষাপ্রযুক্তিকে তথ্যের উৎসের ভিত্তিতে শ্রেণিবিভক্ত করেছেন। সেগুলি হল— [1] ভাষা পরীক্ষাগার, [2] টিচিং মেশিন, [3] দূরদর্শন, [4] পরিকল্পিত শিখন উপকরণ। 

শিক্ষাপ্রযুক্তি হিসেবে শিক্ষণ যন্ত্র ও দূরদর্শন

শিক্ষাপ্রযুক্তির দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল টিচিং মেশিন বা শিক্ষাযন্ত্র এবং দূরদর্শন। শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এই দুটির যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা আছে। 

শিক্ষণ যন্ত্র

শিখন যন্ত্র (Teaching Machine) এমন একটি কৌশল যা শিক্ষার্থী নিজেই চালনা করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এটি স্বয়ংশিখনের একটি কৌশল। শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার ক্ষেত্রে টিচিং মেশিন নিম্নোক্তভাবে কাজ করে।

[1] পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুত সমস্যা এবং প্রশ্ন মেশিনে নির্দিষ্ট কৌশলে স্থাপন করা হয়। 

[2] প্রতিক্রিয়া হিসেবে শিক্ষার্থী এই সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর দেয়। এই উত্তর লিখে বা বােতাম টিপে দেওয়া হয়। 

[3] উত্তরটি সঠিক হয়েছে কি না তা নির্দিষ্ট কৌশলের মাধ্যমে মেশিন বা যন্ত্রটি জানিয়ে দেয়। অনেক সময় ভুল হলে, কেন ভুল হয়েছে তা জানিয়ে দেয়। টিচিং মেশিনের মৌলিক নীতিগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল— 

[i] পাঠদান ব্যক্তিকেন্দ্রিক

[ii] শিক্ষার্থী তার সময় ও ক্ষমতা অনুযায়ী শিখনের সুযােগ পায়।

[iii] বিষয়বস্তুকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে ভুলের সম্ভাবনা ন্যূনতম হয়। 

[iv] শিখনের বিষয়বস্তুকে যুক্তিসিদ্ধভাবে বিন্যাস করা হয়। 

[v] যন্ত্রটি তাৎক্ষণিকভাবে ফ্যিাক (শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দেয়) সরবরাহ করে, যাতে শিক্ষার্থী প্রয়ােজনমতাে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। 

[vi] যন্ত্রটি শিক্ষাথীকে সক্রিয় হতে উৎসাহিত করে। 

[vii] যন্ত্রটি বিদ্যুৎ বা হাতের সাহায্যে চালানাে যায়। 

দূরদর্শন 

দূরদর্শন একটি শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রযুক্তির উদাহরণ। ভারতবর্ষে শিক্ষায় দূরদর্শনের ব্যবহার দিল্লিতে শুরু হয়। 1961 সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে সর্বপ্রথম বিদ্যালয়ে দূরদর্শনের ওপর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে সমগ্র দেশে শিক্ষায় দূরদর্শনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে হচ্ছে।

CIET শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ‘সফটওয়্যার প্রস্তুত করে, যার সাহায্যে দূরদর্শনের নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের সুযােগ পায়। বর্তমানে একাধিক শিক্ষা সংস্থার নির্দিষ্ট চ্যানেল আছে, যেমন— NCERT, UGC (ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন), IGNOU (ইন্দিরা গান্ধি ন্যাশনাল মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। এগুলি দূরদর্শনের সাহায্যে বিষয়বস্তুকে দৃশ্য-শ্রাব্য করে তােলে। তা ছাড়া দূরদর্শনের মাধ্যমে বিষয়বস্তুকে গতিশীল করে তােলা যায়, যার ফলে এটি শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

শিক্ষাপ্রযুক্তি নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে দূরদর্শনের সাহায্য নিয়েছে [1] বিদ্যালয়ে সম্প্রচার, [2] দূরদর্শনের সাহায্যে পাঠদান, [3] শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, [4] দূরশিক্ষা, [5] করসপন্ডেস কোর্স, [6] দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ প্রস্থ বিকাশ এবং ব্যবহার, [7] ভাষা শিক্ষা এবং [8] কম্পিউটার সাক্ষরতা।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment