সীমানা কমিশন ও তার রিপাের্টের ভিত্তিতে পাঞ্জাব ও বঙ্গবিভাজনের প্রসঙ্গটি বিশ্লেষণ করাে

প্রশ্ন – সীমানা কমিশন’ ও তার রিপাের্টের ভিত্তিতে পাঞ্জাব ও বঙ্গবিভাজনের প্রসঙ্গটি বিশ্লেষণ করাে। Class 10 | 4 Marks

উত্তর: ভূমিকা : মাউন্টব্যাটেন কর্তৃক ভারত-বিভাজনের প্রস্তাবের পাশাপাশি পাঞ্জাব ও বাংলা বিভাজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে এই।উদ্দেশ্যে স্যার র্যাডক্লিফের নেতৃত্বে ও সভাপতিত্বে দুটি সীমানা কমিশন গঠিত হয় (জুলাই, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ)।

সীমানা বিভাজনের ভিত্তি : শিখ ও মুসলিম অধ্যুষিত পাঞ্জাব এবং মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাকে বিভাজনের জন্য সিরিলর্যাডক্লিফ মাত্র ছয় সপ্তাহ সময় পাওয়ায় তিনি ধর্মীয় জনগােষ্ঠীর বসবাস ও প্রাকৃতিক সীমারেখারূপে নদীকেই বিভাজনরেখারূপে গুরুত্ব দেন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ, রেল ও বাস যােগাযােগ, প্রশাসনিক কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অবস্থার ওপরেও ভিত্তি করে তিনি তার রিপাের্ট তৈরি করেন।

সীমানা বিতর্ক : কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনকে র্যাডক্লিফ-এর সীমানা বিভাজন। সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বললেও মাউন্টব্যাটেন তা করেননি। তবে র্যাডক্লিফের ওপর পাঞ্জাব সম্পর্কে শিখ ও মুসলিমদের একটি অদৃশ্য চাপ ছিল। বিভিন্ন ধরনের সাম্প্রদায়িক গুজবও ছড়িয়ে পড়ে।

রিপাের্ট পেশ : র্যাডক্লিফ মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে সীমানা কমিশনের রিপাের্ট পেশ করেন (১৬ আগস্ট, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ) এবং বাংলাকে পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ববঙ্গে বিভক্ত করেন। পশ্চিমবঙ্গে আসে কলকাতা-সহ ৩৬ শতাংশ এলাকা ও ৩৫ শতাংশ অধিবাসী। আবার মুসলমানদের ১৬ শতাংশ পড়ে পশ্চিমবঙ্গে এবং হিন্দুদের ৪২ শতাংশ পড়ে পূর্ববঙ্গে। অন্যদিকে পাঞ্জাবকে পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিম পাঞ্জাবে বিভক্ত করা হলে পূর্ব পাঞ্জাবে আসে সমগ্র পাঞ্জাবের ৩৮ শতাংশ এলাকা ও মােট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ।

উপসংহার : সিরিল র্যাডক্লিফের এই রিপাের্টের ভিত্তিতেই ভারত বিভাজন বাস্তব রূপ পায় এবং উদ্বাস্তু সমস্যার উদ্ভব হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment