সিপাহি বিদ্রোহের বা মহাবিদ্রোহের বিস্তার বর্ণনা করাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:–
ভূমিকা : ২৯ মার্চ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্যারাকপুরে বিদ্রোহের সূচনা হলেও ১০ মে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মিরাটে এই বিদ্রোহ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করে এবং ধীরে ধীরে সমগ্র উত্তর ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞলে এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্রোহের বিস্তার :-
১) মিরাট : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে বিদ্রোহী সিপাহিরা এক ইংরেজ সেনাধ্যক্ষকে হত্যা করে এবং জেলখানা ভেঙে তাদের শাস্তিপ্রাপ্ত সহকর্মীদের মুক্ত করে।
২) দিল্লি : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১১ মে বিদ্রোহী সিপাহিরা জোরপূর্বক দিল্লিতে প্রবেশ করে এবং মােগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে হিন্দুস্থানের সম্রাট’ বলে ঘােষণা করে। দিল্লিতে স্ত্রী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে ইউরােপীয় হত্যার পাশাপাশি পুরােদমে লুঠতরাজও চলেছিল।
৩) অযােধ্যা : অযােধ্যার নবাব বন্দি থাকায় তার বেগম হজরত মহল এবং মৌলবি আহমদ উল্লাহ-এর নেতৃত্বে অযােধ্যা ও রহিলখণ্ডের ভূমিচ্যুত তালুকদারদের সঙ্গে কৃষকরাও বিদ্রোহে শামিল হয়েছিল এবং বিদ্রোহীরা অযােধ্যা শহরকে প্রায় ছ-মাস নিজেদের দখলে রেখেছিল।
৪) কানপুর : কানপুরে নানাসাহেব ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযােগী তাঁতিয়া টোপির নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা কয়েকদিনের জন্য হলেও কানপুরকে বিদেশি কবলমুক্ত করেছিল।
৫) ঝাসি : আঁসির রানি লক্ষ্মীবাই ও তাতিয়া টোপির যৌথ নেতৃত্বে ব্রিটিশদের অনুগত সিন্ধিয়ার কাছ থেকে গােয়ালিয়র দুর্গটি দখল করে নেওয়া হয়।

৬) বিহার : বিহারের সাহাবাদ, গয়া, আরা (জগদীশপুর)-তে ভূমিচ্যুত জমিদার কুনওয়ার সিংহের নেতৃত্বে রাঁচির সর্বস্তরের জনগণ ও ছােটোনাগপুরের আদিবাসীরাও এই বিদ্রোহে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হয়।
উপসংহার : এভাবে দেখা যায় যে, সিপাহি বিদ্রোহ গােটা উত্তর ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।