সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে গান্ধিজি পরিচালিত কৃষক আন্দোলনের বিবরণ দাও। 

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে গান্ধিজি পরিচালিত কৃষক আন্দোলনের বিবরণ দাও।   4 Marks/Class 10

উত্তর:

ভূমিকা : ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে গান্ধিজি কয়েকটি আঞ্চলিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যথা— (১) বিহারে চম্পারণ সত্যাগ্রহ এবং (২) গুজরাটের খেদা সত্যাগ্রহ।

চম্পারণ সত্যাগ্রহ : বিহারের চম্পারণে নীলকর সাহেবরা ‘তিনকাঠিয়া প্রথায় কৃষকদের নীলচাষ করতে এবং উৎপাদিত নীল নির্দিষ্ট দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করত। কিষাণনেতা রাজকুমার শুক্লার অনুরােধে গান্ধিজি, বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদ,ব্রজকিশাের প্রসাদ, অধ্যাপক কৃপালিনী, মহাদেব দেশাই প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে চম্পারণে যান এবং কৃষকদের নিয়ে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চম্পারণ সত্যাগ্রহ শুরু করেন। সরকার এই আন্দোলনের চাপে একটি অনুসন্ধান কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়—যার অন্যতম সদস্য ছিলেন গান্ধিজি স্বয়ং।

খেদা সত্যাগ্রহ : গুজরাটের খেদা জেলার কৃষকদের নিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি খেদা সত্যাগ্রহ শুরু করেন। এখানকার কৃষকরা ধান ও গমচাষের পাশাপাশি তামাক ও তুলাচাষ করত। ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি জনিত কারণে কৃষকদের বাজনা হ্রাসের দাবিতে সরকার সাড়া না দেওয়ায় গান্ধিজি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মােহনলাল পান্ডা, বল্লভভাই প্যাটেল, ইন্দুলাল যাজ্ঞিক প্রমুখ নেতাকে নিয়ে খেদার কৃষকদের একত্রিত করে বয়কট সত্যাগ্রহ শুরু করে। এর ফলে খাজনা দেওয়ার জন্য কৃষকদের ওপর চাপ বন্ধ হয়।

ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, চম্পারণের “”পালনের ফলে কৃষকদের মনােবল বৃদ্ধি পায় এবং গান্ধিজির খ্যাতি  ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন ও খেদা আন্দোলন সাফল্য সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে তার উত্থানের পথ প্রশস্ত করে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment