স্মৃতি বা স্মরণক্লিয়ার শ্রেণিবিভাগ আলােচনা করাে Class 12 | Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) | 8 Marks
উত্তর: স্মৃতি বা স্মরণক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ
মনােবিদগণ স্মৃতি বা স্মরণক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিভাগ করেছেন—
[1] শিখন কৌশল অনুযায়ী
i. যান্ত্রিক বা অভ্যাসগত স্মৃতি: কোনাে বিষয়বস্তু না বুঝে, বারবার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে যখন শিখন সম্পন্ন হয় এবং সেই শিখনীয় অভিজ্ঞতা পরবর্তীকালে স্মরণ করা হয়, তাকে বলে যান্ত্রিক স্মৃতি (Rote memory) বা অভ্যাসগত স্মৃতি (Habit memory)।
ii. যৌক্তিক বা প্রকৃত স্মৃতি: কোনাে বিষয়বস্তুর হৃদয়ঙ্গমের পর ব্যক্তি যখন মনঃকল্পের (mental image) দ্বারা বস্তুকে স্মরণ করে, তখন ওইরূপ স্মৃতিকে যৌক্তিক স্মৃতি (Logical memory) বা প্রকৃত স্মৃতি (True memory) বলে।
[2] স্থায়িত্বকাল অনুযায়ী
i. তাৎক্ষণিক স্মৃতি : কোনাে বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিক্ষালাভ করার পরেই তার পুনরুদ্ৰেককে তাৎক্ষণিক স্মৃতি (Immediate memory) বলে।
ii. দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি: কোনাে কিছুর অভিজ্ঞতা অর্জন করার দীর্ঘ সময় পরে সেটিকে স্মরণ করাকে স্থায়ী স্মৃতি বলা হয়।
iii. স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি: এই ধরনের স্মৃতিও সাময়িক, তবে তাৎক্ষণিক স্মৃতির তুলনায় কিছুটা বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির পরিসর প্রায় 30 সেকেন্ড l অনুশীলনের মাধ্যমে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি (Short-term memory) অনেকদিন স্থায়ী হতে পারে।
[3] অভিজ্ঞতার মাধ্যম অনুযায়ী
i. ব্যক্তিগত স্মৃতি: কোনাে বিষয়ে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং স্মরণ করে, তাকে ব্যক্তিগত স্মৃতি (Personal memory) বলে
ii. নৈর্ব্যক্তিক স্মৃতি: ব্যক্তির জীবনে বেশিরভাগ অভিজ্ঞতা আসে। অন্যের কাছ থেকে বা বই পড়ে। এইসব অভিজ্ঞতার স্মরণকে নৈর্ব্যক্তিক স্মৃতি (Impersonal memory) বলা হয়।
[4] ইন্দ্রিয় অনুযায়ী
i. দর্শনগত স্মৃতি: এইপ্রকার স্মৃতি বা পুনরুদ্রেক দর্শনগত প্রত্যক্ষণের প্রভাবে ঘটে থাকে। বহু শিক্ষার্থীর দর্শনগত স্মৃতি প্রখর| তারা যাতে দর্শন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, তার সুযােগ সৃষ্টি করা দরকার।
ii. শ্রবণগত স্মৃতি: এই ধরনের স্মৃতি বা পুনরুদ্রেক শ্রবণগত প্রত্যক্ষণের প্রভাবে ঘটে থাকে। যেসব শিক্ষার্থীর শ্রবণগত স্মৃতি প্রখর, তারা যাতে শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
iii. ঘ্রাণজাত স্মৃতি: এই ধরনের স্মৃতি বা পুনরুদ্রেক ঘণজাত প্রত্যক্ষণের প্রভাবে ঘটে থাকে।
iv. স্পর্শজাত স্মৃতি : এইপ্রকার স্মৃতি বা পুনরুদ্রেক স্পর্শগত প্রত্যক্ষণের প্রভাবে ঘটে।
v. স্বাদমূলক স্মৃতি: এইজাতীয় স্মৃতি বা পুনরুদ্রেক স্বাদমূলক প্রত্যক্ষণের প্রভাবে ঘটে থাকে।
[5] মানসিক ইচ্ছা অনুযায়ী
i. সক্রিয় স্মৃতি : কোনাে অভিজ্ঞতাকে মনে রাখার জন্য ব্যক্তি যখন নিজেদের মানসিক ইচ্ছা বিশেষভাবে প্রয়ােগ করে, তখন তাকে সক্রিয় স্মৃতি (Active memory) বলা হয়। যেমন—কোনাে ব্যক্তির পূর্ব ঘটনাকে স্বেচ্ছায় স্মরণ করার বিষয়টি এই স্মৃতির উদাহরণ।
ii. নিষ্ক্রিয় স্মৃতি : কোনাে অভিজ্ঞতাকে পুনরুদ্রেক করার জন্য যখন ব্যক্তির সক্রিয় মানসিক প্রচেষ্টার প্রয়ােজন হয় না, তখন তাকে নিষ্ক্রিয় স্মৃতি (Passive memory) বলে। যেমন—কোনাে অতীত ঘটনাকে স্মরণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিষ্ক্রিয়তা বা মনে করার চেষ্টা না করার বিষয়টি এইরূপ স্মৃতির উদাহরণ
[6] সংগঠন অনুযায়ী
i. ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি : এইপ্রকার স্মৃতিতে অভিজ্ঞতা দ্রুত প্রবেশ করতে পারে। এই স্মৃতিতে অভিজ্ঞতা সেনসরি রেজিস্টার অথবা স্থায়ী স্মৃতি থেকে আসতে পারে। এই স্মৃতিতে অভিজ্ঞতা খুবই অল্প সময়ের জন্য থাকতে পারে৷
ii. স্থায়ী স্মৃতি: স্থায়ী স্মৃতিতে অভিজ্ঞতাগুলি ধীরে ধীরে প্রবেশ করে। এই স্মৃতির অভিজ্ঞতা ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি থেকেই আসে, যা দীর্ঘদিন
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।