টীকা লেখাে : কল্পনা দত্ত 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে একজন বিখ্যাত নারী ছিলেন কল্পনা দত্ত (১৯১২-১৯৯৫ খ্রি.)। কল্পনা দত্তকে তার বিপ্লবী চেতনার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে সম্ভাষিত করেন।
পরিচিতি : তিনি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুলাই চট্টগ্রামের অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কল্পনার বাবা বিনােদবিহারী সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তার পরিবারে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কোনাে অনুকূল পরিবেশ ছিল না। তাঁর পূর্বসূরী বিপ্লবীদের জীবনী, সমকালীন সাহিত্য তাঁকে বিপ্লবী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে।
বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড : কল্পনা দত্ত যেভাবে বিপ্লবী আন্দোলনে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তা হল—
১. কাগজপত্র ও অস্ত্রসংরক্ষণ : বেথুন কলেজে পড়ার সময়ে বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে তার সূর্যসেনের সঙ্গে যােগাযােগ হয়। প্রথমে তিনি দলের কাগজপত্র ও অস্ত্র গােপনে রাখার দায়িত্ব পান।
২. ডিনামাইট ষড়যন্ত্র : কল্পনা দত্ত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ও জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক গণেশ ঘােষ ও অনন্ত সিংহকে ইংরেজ জেল থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব পান। তাকে মাটির তলায় রাখা ডিনামাইটের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযােগের দায়িত্ব দেওয়া হলেও পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কল্পনা ধরা পড়েন।
উপসংহার : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে মুক্তি লাভ। করে কল্পনা দত্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যােগদান করেন। এভাবে তিনি বৈপ্লবিক ও সাম্যবাদী আন্দোলন দুই ক্ষেত্রেই হয়ে উঠেছিলেন অনন্য।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।