“ তিনি ঈষৎ ক্ষুণ্ণ হইলেন । – কে, কার প্রতি ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন ? তাঁর ক্ষুণ্ণ হওয়ার কারণ কী? MARK 5 | Class 11 Bengali | ছুটি
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ছুটি’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। মায়ের অপত্য স্নেহের টানকে সহজেই উপেক্ষা করে বিশ্বম্ভরবাবুর সাথে কলকাতায় যাওয়ার জন্য ফটিকের অতি আগ্রহ দেখে তার বিধবা মা মনে মনে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফটিকের দুরন্তপনা দুরন্ত গতিতে বেড়েই চলেছিল। উত্তরোত্তর মায়ের অবাধ্য হয়ে ওঠা ফটিককে তাই বিশ্বম্ভরবাবু কলকাতায় নিজের কাছে রেখে পড়াশোনা করানোর প্রস্তাব দেন। ফটিক ও তার মা উভয়ের কাছে এই প্রস্তাব ছিল হাতে স্বর্গ পাওয়ার মতো। ফটিক ভেবেছিল, কলকাতায় মামার আদর আর স্নেহে সবসময় খেলে বেড়াবে, মায়ের বকুনির হাত থেকে মুক্তি পাবে, খেলার নতুন সাথী ও নানা উপাদান পাবে। তাই কলকাতায় যাওয়ার কথা শুনে ফটিক আনন্দে আত্মহারা—উৎসাহে তাহার রাত্রে নিদ্রা হয় না।’
ফটিকের এই অত্যুৎসাহ তার মায়ের মনকে ক্ষুণ্ণ করেছিল। বিশ্বম্ভরবাবুর প্রস্তাবে ফটিকের মা নিশ্চিত ভেবেছিলেন যে, দাদার অভিভাবকত্বে পিতৃহীন ফটিক কলকাতার স্কুলে পড়াশোনা করে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠবে এবং নিরীহ মাখনের জীবনটাও নিরাপদে কাটবে। সন্তানের প্রতি মায়ের স্বাভাবিক স্নেহ-প্রীতি বজায় থাকায় মা এটাও ভেবেছিলেন, ফটিক হয়তো তাঁকে ছেড়ে যেতে কুণ্ঠাবোধ করবে কিংবা গাঁয়ের সঙ্গীসাথীদের ছাড়া কলকাতায় যেতে আগ্রহ দেখাবে না। কিন্তু মায়ের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় মাতৃমমতার স্নেহার্দ্র কোমলতা তাকে ক্ষুণ্ণ করেছিল।
Read Also
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।