তুলাের শ্রেণিবিভাগ করাে। Class 10 | Geography (ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ) | 3 Marks
উত্তর:-
তুলাের শ্রেণিবিভাগ: আঁশের দৈর্ঘ্য অনুসারে তুলাে চারপ্রকার, যেমন—
1) অতিরিক্ত দীর্ঘ আঁশযুক্ত তুলাে: বৈশিষ্ট্য: [a] এই জাতীয় তুলার আঁশ 35 মিমি ও তার বেশি দীর্ঘ হয়। [b] সর্বোৎকৃষ্ট এই তুলাে দিয়ে রিং-এ লাগানাের উন্নতমানের সুতাে এবং পলিয়েস্টার তন্তুর সঙ্গে মিশিয়ে উচ্চ গুণমানের কাপড় প্রস্তুত করা হয়।
2) দীর্ঘ আঁশযুক্ত তুলাে: বৈশিষ্ট্য: [a] এই জাতীয় তুলাের আঁশ 30-35 মিমি দৈর্ঘ্যের সামান্য কম লম্বা হয়। [b] এই জাতীয় তুলাের আঁশগুলি মসৃণ, রেশমের মতাে উজ্জ্বল এবং পশমের মতাে সূক্ষ্ম। [c] এই তুলাে ‘সাগরদ্বীপীয় তুলাে’ নামেও পরিচিত।
3) মাঝারি আঁশযুক্ত হলাে: বৈশিষ্ট্য: এই জাতীয় তুলাের আঁশ 25-30 মিমি দৈর্ঘ্যের সামান্য কম লম্বা হয়।
4) ক্ষুদ্র আঁশযুক্ত তুলাে: বৈশিষ্ট্য: [a] এই জাতীয় তুলাের আঁশের দৈর্ঘ্য 25 মিমির কম হয়। [b] ক্ষুদ্র আঁশযুক্ত তুলাে গুণগত মানে খুবই নিকৃষ্ট, আঁশ মােটা ও খসখসে হয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।