USA এর মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং কাজগুলি আলোচনা করো

USA এর মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং কাজগুলি আলোচনা করো

উত্তর :

USA এর মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য :

মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষামূলক নীতি সূত্রবদ্ধ করার জন্য 1944 খ্রিস্টাব্দে একটি কমিশন নিযুক্ত হয়। এই কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষাকে লিঙ্গ, বর্ণ, জাতি, পরিবেশ, স্থান অথবা রাজ্য থেকে পৃথক করার প্রয়ােজনীয়তাকে বিবেচনা করে এবং ধারণা করা হয় যে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপর 1947 খ্রিস্টাব্দে আরও একটি কমিশন নিযুক্ত হয়। শিক্ষার লক্ষ্যকে পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য এই কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে যেসব সুপারিশ করে তা হলাে— 

  1. প্রতিটি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীকে দক্ষ এবং সুনাগরিক তৈরি করা। 
  2. এই শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডের সাথে পরিচিত করানাে।
  3. সুদক্ষ পারিবারিক সদস্য সরবরাহ।
  4. দক্ষ নাগরিকদের অবসর সময়ের যথার্থ ব্যবহার।
  5. নাগরিকদের প্রাথমিক শিক্ষার সাথে পরিচয় ঘটানাে। 
  6. নাগরিকদের যথার্থ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণদান।
  7. সৌন্দর্যের মূল্যায়ন, ক্ষমতার উন্নয়ন যাতে শিক্ষার্থীরা ললিত কলা (Fine arts) এবং প্রকৃতিকে বুঝতে সমর্থ হয়।
  8. বিজ্ঞানের রহস্য এবং নীতি বুঝতে পারা। 
  9. মানসিক সুস্থতা এবং শারীরিক যােগ্যতা অর্জনে সহায়তা প্রদান। 
  10. শিক্ষার্থীদের নৈতিক চিন্তা এবং নৈতিক মূল্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা প্রদান।

মাধ্যমিক শিক্ষার কাজ : 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এদেশে মাধ্যমিক শিক্ষার বিভিন্ন কাজ রয়েছে যা নিম্নরূপ —

1.জ্ঞানের ক্রমবিকাশ এবং একত্রীকরণ : মাধ্যমিক শিক্ষার কর্তব্য হচ্ছে নির্দিষ্ট কার্যক্রম অনুসারে জ্ঞানের উন্নয়ন ঘটানাে। এসব কার্যক্রম ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষণ তাদের বর্ধিত জ্ঞানের স্তর কাঙ্ক্ষিত সাধারণ আদর্শ, প্রবণতা, মূল্যায়ন, জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ শােষণ করতে না পারে।

2.ভবিষ্যতের প্রয়ােজনীয়তা পূরণ : মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম কাজ হলাে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কর্মসম্পাদনের জন্য বিভিন্ন প্রয়ােজনীয়তা পূরণ করা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক মূল্য, ক্ষমতা, কৌতুহল এবং পরিপক্বতার দিক নির্দেশ করে।

3.সামাজিক রীতিনীতি এবং সাংস্কৃতিক জ্ঞানদান : আধুনিক মাধ্যমিক শিক্ষা এমন হওয়া উচিত যা তাদের সর্বোচ্চ বাধা অতিক্রম করে জীবনসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করে, ধর্মবিশ্বাস, প্রথা, সংস্কৃতি, সমাজ এবং বিশেষ প্রগতিশীল কার্যক্রমের অনুশীলন করতে সাহায্য করতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রয়ােজন মেটানাের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে উৎসাহিত হতে পারে।

4.স্বাতন্ত্র্যবাদের জাগরণ : মাধ্যমিক শিক্ষার উচিত স্বাতন্ত্র্যবাদের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি এবং জাতিগত শিক্ষার উন্নতিসাধন। 

5.নতুন শিক্ষাকে পুরাতন শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত করার ব্যবস্থা : পূর্ববর্তী জ্ঞান তথা শিক্ষাকে এমনভাবে নতুন শিক্ষার সঙ্গে নিয়মাবদ্ধ করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা আইন, নিয়ম, এবং জ্ঞানের গুরুত্ব শিক্ষার মাধ্যমে সহজভাবে বুঝতে সমর্থ হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং তাদের নিত্যনতুন জ্ঞানের জন্য কৌতুহলী বানাতে হবে।

6.মানব ক্রিয়াকর্মের ক্ষেত্রে কৌতুহল সৃষ্টি : মাধ্যমিক শিক্ষার উচিত শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য এবং সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে মানব ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে কৌতু হল সৃষ্টি করা।

7.প্রগতিশীল শিক্ষানীতি, স্বাধীন চিন্তা এবং নীতি গবেষণায় ব্যবহার : শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচি নির্ভর করে স্বাধীন চিন্তাধারা, গবেষণা নীতি, সহযােগিতাপূর্ণ এবং ব্যক্তিগত বুদ্ধিমত্তা ও স্বেচ্ছাপরিচালিত অনুশীলনের ওপর।

8.যখন শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে অধ্যয়নে প্রস্তুত তখন তাদের প্রতিষ্ঠানে অথবা স্কুলে পাঠানাে দরকার যেখানে তারা তাদের ব্যক্তিত্ব এবং ক্ষমতানুসারে অধ্যয়ন করতে পারে।

9.মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম কাজ হলাে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে তাদের বিজ্ঞানের রহস্যকে বুঝতে শেখানাে। যাতে আরও বেশি পরিমাণে বিজ্ঞানের কাজ করা সম্ভব হয়।

10.মাধ্যমিক শিক্ষার আরও একটি কাজ হলাে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশের জন্য দক্ষ এবং সুনাগরিক গড়ে তােলা।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!