উৎপ্রেক্ষা ও অতিশয়োক্তি অলংকারের মধ‍্যে পার্থক্য আলোচনা করো

উৎপ্রেক্ষা ও অতিশয়োক্তি অলংকারের মধ‍্যে পার্থক্য আলোচনা করো

উত্তর:

উৎপ্রেক্ষা ও অতিশয়োক্তি অলংকারের পার্থক্য

এই উৎপ্রেক্ষা ও অতিশয়োক্তি অলংকারের মধ‍্যে পার্থক্য থাকলেও উভয়ই সাদৃশ‍্যমূলক অলংকার।

  • i) উৎপ্রেক্ষা অলংকারের লক্ষণ হল- “ভবেত্ সম্ভাবনোৎপ্রেক্ষা প্রকৃতস‍্য পরাত্মনা।” অর্থাৎ উপমেয়ের স্থলে উপমানের সম্ভাব‍্য হলে হয় উৎপ্রেক্ষা।

অপরদিকে, অতিশয়োক্তির লক্ষণ হল- “সিদ্ধাত্বেঅধ‍্যবসায়স‍্যাতিশয়োক্তির্নিগদ‍্যতে।” অর্থাৎ উপমেয়ের উপমানরূপে নিশ্চয়াত্মক প্রতীতিকে অতিশয়োক্তি বলা হয়।

  • ii) উভয়ক্ষেত্রেই উপমেয় ও উপমানের অভেদ সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু উৎপ্রেক্ষায় সম্ভাবনাটি অনিশ্চিতরূপ।

আর অতিশয়োক্তিতে অভেদ সম্ভাবনাটি কবিকল্পনা সমুদ্ভূত বলে অসংশয়িত রূপে নিশ্চিত।

  • iii) উৎপ্রেক্ষায় অভেদ সম্ভাবনাটি সাধ্য বা নিষ্পাদনীয়।

কিন্তু অতিশয়োক্তিতে ইহা সিদ্ধ বা পূর্বনিষ্পন্ন।

  • iv) উৎপ্রেক্ষায় ইবাদি শব্দের প্রয়োগ থাকায় বিষয়ী বা উপমান কঞ্চিৎ সন্দিগ্ধ বা অনিশ্চিতরূপে কথিত হওয়াই অভেদটি বিচারের দ্বারা গ্রহণীয়।

কিন্তু অতিশয়োক্তিতে অভেদটি অসংশয়িত রূপে নির্দেশিত।

  • v) উৎপ্রেক্ষায় ইবাদি শব্দের উল্লেখ থাকায় বিষয়ের বা উপমেয়ের সম্পূর্ণ নিগরন বা আচ্ছাদন না হলেও কথাটিতে নিগরনের অর্থ থাকে।

আর অতিশয়োক্তিতেও নিগরনের অর্থ বিদ্যমান থাকে। তাই উভয়ের ভেদ সাধনের জন্য লক্ষণে ‘সিদ্ধত্বে’ পদটির প্রয়োগ হয়েছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!