Class 12 Class 12 Philosophy অবৈধ সাধ্য দোষ এবং অবৈধ পক্ষ দোষ কখন হয়? উদাহরণ-সহ ব্যাখ্যা করাে।

অবৈধ সাধ্য দোষ এবং অবৈধ পক্ষ দোষ কখন হয়? উদাহরণ-সহ ব্যাখ্যা করাে।

অবৈধ সাধ্য দোষ এবং অবৈধ পক্ষ দোষ কখন হয়? উদাহরণ-সহ ব্যাখ্যা করাে। Class 12 | Education (নিরপেক্ষ ন্যায়) | 8 Marks

উত্তর:-

অবৈধ সাধ্য দোষ

ন্যায় অনুমানের চতুর্থ নিয়মটিকে লঙ্ঘন করা হলে মূলত যে দুটি দোষের উদ্ভব হয়, তার একটি হল অবৈধ সাধ্য দোষ। আমরা জানি যে, সাধ্যপদটি একটি যুক্তিতে দুবার অবস্থান করে। একবার তা প্রধান যুক্তিবাক্যে এবং আর একবার তা সিদ্ধান্তে থাকে। এই সাধ্যপদটি যদি প্রধান যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়, তাহলে যে দোষের উদ্ভব হয় তাকে বলে অবৈধ সাধ্য দোষ (fallacy of illicit major)।

উদাহরণ 1

সকল ঘােড়া হয় চতুষ্পদ প্রাণী (A)

কোনাে গর্দভ নয় ঘােড়া (E)

.;. কোনাে গর্দভ নয় চতুষ্পদ প্রাণী (E)

ব্যাখ্যা

এই অনুমানটি অবৈধ কারণ, এটি অবৈধ সাধ্য দোষে দুষ্ট। এখানে। পাধ্যগদ তথা ‘চতুষ্পদ প্রাণী প্রধান আগ্রাবাক্যে A বচনের বিধেয় গানে অবস্থান করায় তা ব্যাপ্য হয়নি। কিন্তু তা সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে অবস্থান করায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, A বচন শুধুমাত্র উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করলেও, E বাটন উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয়কেই ব্যাপ্য করে।অতএব, অনুমানটি অবৈধরূপেই গণ্য হয় এবং এখানে যে দোষের উদ্ভব হয়েছে, তা হল অবৈধ সাধ্য দোষ (fallacy of illicit major)।

উদাহরণ 2

সক্রেটিস্ হন মানুষ (A)।

সক্রেটিস নন শাসক (E)।

 .:. কোনাে শাসক নন মানুষ (E)।

ব্যাখ্যা

এক্ষেত্রে সাধ্যপদ তথা ‘মানুষ’ পদটি প্রধান অত্রিয়বাক্যে ব্যপ্যি না। হলেও, সিদ্ধান্তে তা ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, প্রধান যুক্তিবাক্যের A. বচনের বিধেয় স্থানে সাধ্যিপদটি অবস্থান করেছে এবং সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে অবস্থান করেছে। এর ফলে যুক্তিটি অবৈধ। সাধ্য দোষে দুষ্ট| যুক্তিটি তাই বৈধ না হয়ে, অবৈধরূপেই গণ্য হবে।।

অবৈধ পক্ষ দোষ 

ন্যায় অনুমানের চতুর্থ নিয়ম অনুযায়ী বলা হয় যে, যদি কোনাে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য না হয়, সেই পদ সিদ্ধান্ডে ব্যাপ্য হতে পারে না | ন্যায়ের এই নিয়ষটিকে লঙ্ঘন করলে যে দুটি দোষের উদ্ভব ঘটে তার একটি হল অবৈধ পক্ষ দোষ (fallacy of illicit minor)। এর ফলে পক্ষপদটি অপ্রধান যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়।

উদাহরণ 1

কোনাে পাখি নয় চতুস্পদ প্রাণী (E)

 সকল পাখি হয় ডানাযুক্ত প্রাণী (A)

.;. কোনো ডানাযুক্ত প্রাণী নয় চতুষ্পদ প্রাণী (E)

ব্যাখ্যা

এরূপ অনুমানটি অবৈধরূপে গণ্য | কারণ, এক্ষেত্রে যে দোষের উদ্ভব ঘটেছে, সেই দোষটি হল অবৈধ পক্ষ দোষ। এখানে পক্ষপদ তথা ডানাযুক্ত প্রাণী অপ্রধান যুক্তিবাক্যের বিধেয় স্থানে অবস্থান করায়। দি। এবং অপ্রধানযুক্তিবাক্যটি A বচন হওয়ায়,ডানাযুক্ত প্রাণীপদটিব্যাপ্য হয় না | কিন্তু সিদ্ধান্তে এই পদটি E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে অবস্থান করায় তা ব্যাপ্য হয়েছে। এর ফলে অবৈধ পক্ষ দোষের উদ্ভব ঘটেছে।

উদাহরণ 2

সকল মানুষ হয় চিন্তাশীল জীব (A)।

সকল মানুষ হয় মরণশীল প্রাণী (A)। 

.:. সকল মরণশীল প্রাণী হয় চিন্তাশীল জীব (A)।

ব্যাখ্যা

 এরূপ অনুমানটির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, পক্ষপদ তথা ‘মরণশীল প্রাণী অপ্রধান যুক্তিবাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে অবস্থান করায় তা ব্যাপ্য হয় না | কিন্তু সিদ্ধান্তে পদটি A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে অবস্থান। করায় তা ব্যাপ্য হয়। ফলে এক্ষেত্রে অবৈধ পক্ষ দোষের উদ্ভব ঘটেছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!