দশম শ্রেনী (মাধ্যমিক) মানবেন্দ্রনাথ রায় (১৮৮৬-১৯৫৪) – টীকা লেখাে।

মানবেন্দ্রনাথ রায় (১৮৮৬-১৯৫৪) – টীকা লেখাে। 

টীকা লেখাে : মানবেন্দ্রনাথ রায় (১৮৮৬-১৯৫৪)।  4 Marks/Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, যিনি এম এন রায় (মানবেন্দ্রনাথ রায়) নামেই বেশি পরিচিত।

বিপ্লবী আন্দোলনে অংশগ্রহণ : বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে পড়াকালীনই নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে যােগদান করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বাঘাযতীনের নির্দেশে তিনি জার্মানির কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রামের উদ্দেশ্যে বাটাভিয়ায় যান। সেখান থেকে আমেরিকা হয়ে মেক্সিকোতে পৌছান এবং সেখানে মিখাইল বােরােদিন নামে এক বলশেভিক নেতার সংস্পর্শে আসেন ও মার্কসবাদে দীক্ষা নেন।

কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা : ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে লেনিনের আমন্ত্রণে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে যােগ দেন এবং এখানেই ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ অক্টোবর এম এন রায় অবনী মুখার্জি প্রমুখ নেতাদের নিয়ে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তােলেন যা পরের বছরই কমিনটার্ন-এর স্বীকৃতি লাভ করে। 

ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনে ভূমিকা : ভারতে কমিউনিস্ট পাটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশের পূর্বেই কিছু বিপ্লবা নিজ প্রচেষ্টায় কমিউনিস্ট গােষ্ঠী গঠনের চেষ্টা করলে এম এন রায় তাদের সঙ্গে যােগাযােগের স্থাপনের জন্য নলিনী গুপ্ত ও শওকত উসমানীকে ভারতে পাঠান।

কমিউনিস্ট আন্দোলনে পরিচালনায় রণকৌশল : ভারতে কমিউনিস্ট দলকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি দ্বিস্তর আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন – (১) জাতীয় আন্দোলনে যােগদানের মাধ্যমে আইনগত ও বৈধভাবে আন্দোলন করা এবং (২) গােপনে শ্রমিক-কৃষক সংগঠন দ্বারা দলের নিজস্ব ভিত্তি শক্ত করা।

মূল্যায়ন : মানবেন্দ্রনাথ রায়ের উদ্যোগেই ভারতের নানা প্রান্তে সাম্যবাদী আদর্শে বিশ্বাসী মানুষজনের সহযােগিতায় কমিউনিস্ট পার্টির শাখা গড়ে ওঠে, যার চূড়ান্ত পরিণতি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কানপুরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা। এই কমিউনিস্ট নেতা ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি পরলােকগমন করেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!