বীণা দাস স্মরণীয় কেন? 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯২০-র দশক থেকেই ছাত্রীদের যােগদান লক্ষ করা যায় এবং এক্ষেত্রে একজন উল্লেখযােগ্য বিপ্লবী ছাত্রী ছিলেন বীণা দাস (১৯১১-১৯৮৬ খ্রি.)।
বৈপ্লবিক কার্যকলাপ : বীণা দাসের বৈপ্লবিক কাজকর্ম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে —
১. জ্যাকসন হত্যার চেষ্টা : স্বল্পভাষিণী ও শান্ত প্রকৃতির বীণা দাস কলকাতার সেন্ট-ডায়ােসেশন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৬ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে তদানীন্তন বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসন যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় বীণা দাস তাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। বীণা পরপর তিনবার তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছােড়েন। কিন্তু অনভিজ্ঞতার দরুন তার তিনটি গুলিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বীণা দাস গ্রেফতার হন ও বিচারে ৯ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। প্রথমে প্রেসিডেন্সি জেলে ও পরে বিভিন্ন জেলে স্থানান্তরিত হন।
২. ভারত ছাড়াে আন্দোলন : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বীণা দাস জেল থেকে মুক্তি লাভের পর কংগ্রেস দলে যােগ দেন এবং ভারত ছাড়াে আন্দোলনকালে প্রত্যক্ষভাবে যােগদান করেন ও পুনরায় জেলবন্দি হন (১৯৪২-৪৫ খ্রি.)।
উপসংহার : উল্লেখ্য যে, বীণা ছিলেন নেতাজির শিক্ষক বেণীমাধব দাস-এর কন্যা। বীণা তার কাজের অনুপ্রেরণা পান তার দিদি তথা বিপ্লবী কল্যাণী দাস ও বিপ্লবী নির্মল সেনের কাছ থেকে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।