টীকা লেখাে : ভগৎ সিং অথবা, ভগৎ সিংকে মনে রাখা হয় কেন? অথবা ভগৎ সিং স্মরণীয় কেন? 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের যেসব তরুণ তাদের বিপ্লবী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রাম করেছিলেন, ভগৎ সিং ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
ভগৎ সিং-এর কার্যকলাপ : ভগৎ সিং-এর কার্যকলাপের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে—
১. বিপ্লবী সমিতি গঠন : হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসােসিয়েশনের সদস্য ভগৎ সিং পরবর্তীকালে চন্দ্রশেখর আজাদের সহযােগিতায় শ্রমিক শ্রেণির একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘হিন্দুস্থান সােশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসােসিয়েশন’ নামে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সমিতি গঠন করেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি নবজীবন’ ও ‘ভারতসভা’ নামে দুটি সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেন।
২. স্যান্ডার্স হত্যা : সাইমন কমিশন-বিরােধী আন্দোলন পর্বে পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে পাঞ্জাবের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিশােধ নেওয়ার জন্য ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ভগৎ সিং লাহােরের সহকারী পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যান্ডার্সকে হত্যা করেন।
৩. লাহাের ষড়যন্ত্র মামলা : ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল ভগৎ সিং ও তার সহকর্মী বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভায় বােমা নিক্ষেপ করেন এবং দুর্ভাগ্যবশত ধরা পড়ে যান। এই ঘটনার সূত্র ধরে কয়েকদিনের মধ্যেই (১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মে) লাহাের ও সাহারানপুরে বােমা তৈরির দুটি বিশাল কারখানা আবিষ্কৃত হলে ভগৎ সিং এবং অন্যান্য বিপ্লবীকে ‘লাহাের ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
৪. ফাসি : লাহাের ষড়যন্ত্র মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ভগৎ সিং প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন (মার্চ, ১৯৩১)।
উপসংহার : ভগৎ সিং-এর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করে, এই জন্য তিনি স্মরণীয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
So beautiful 🤩