টীকা লেখাে : বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স। 

টীকা লেখাে : বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স।     4 Marks/Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : ১৯২৫ থেকে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী বৈপ্লবিক কার্যকলাপ প্রবল হয়ে ওঠে এবং এক্ষেত্রে এক উল্লেখযােগ্য সংগঠন ছিল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স বা বি. ভি. গােষ্ঠী। 

প্রতিষ্ঠা : ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের কলকাতা কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে এক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থেকে বিপ্লবীদের সংগ্রহ করে ঢাকার হেমচন্দ্র ঘােষের নেতৃত্বে গঠিত হয় বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স বা ‘বি ভি দল।

সদস্য : এই দলের উল্লেখযােগ্য সদস্যরা ছিলেন সত্য গুপ্ত (সংগঠক), গণেশ ঘােষ, অনন্ত সিং, লােকনাথ বল, সূর্য সেন, বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত, সুরেন্দ্রমােহন ঘােষ প্রমুখ।

কার্যাবলি : বি ভি গােষ্ঠীর কার্যাবলি পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে —

১. অভিবাদন প্রদর্শন : এই গােষ্ঠীর সদস্যরা কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনের সভাপতি মতিলাল নেহরুকে সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। 

২. অপারেশন ফ্রিডম’ : এই গােষ্ঠী বিভিন্ন জেলে বন্দিদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ জানায় এবং এই উদ্দেশ্যে শুরু করে “অপারেশন ফ্রিডম। 

৩. লােম্যান হত্যা : এই দলের সদস্য বিনয় বসু বাংলা পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল লােম্যানকে হত্যা করেন (২৯ আগস্ট, ১৯৩০ খ্রি.) 

৪. অলিন্দ যুদ্ধ : এই দলের অন্যতম সদস্য বিনয়কৃষ্ণ বসু। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বি ভি দলের তিন তরুণ বিপ্লবী বিনয়কৃষ্ণ বসু, বাদল গুপ্ত এবং দীনেশ গুপ্ত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ এক দুঃসাহসিক অভিযান চালান। তাঁরা কারা বিভাগের কুখ্যাত ইনস্পেক্টর জেনারেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। কিন্তু কলকাতার পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট ওই তিন বিপ্লবীর ওপর আক্রমণ করলে তাদের অভিযান ব্যর্থ হয়।

উপসংহার : মহাত্মা গান্ধি বি ভি গােষ্ঠীর কাজকর্মকে কলকাতার পার্ক সার্কাসের সার্কাস’ বলে অভিহিত করলেও তা ছিল বাংলার সশস্ত্র বৈপ্লবিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে আত্মত্যাগের এক স্মরণীয় ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!