‘ভূতের রাজত্বে আর কিছুই না থাক…শান্তি থাকে— মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে। Mark 5 | Class 11
উত্তর:- উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। রচনাটি “লিপিকা” গ্রন্থের একটি গল্পিকা। প্রাচ্যের দেশগুলি তাদের প্রাচীন কুসংস্কারকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। পুরােনাে অচল এইসব নিয়মনীতিকে ভূতের প্রভাব বলে মনে করা হয়েছে। ‘ভূত’ অর্থাৎ অতীত যখন বর্তমানের ওপর জাঁকিয়ে বসে, তখন সেই ভূতের রাজত্বে একটা অদ্ভুত শান্তি বিরাজ করে। এ দেশবাসী চোখ কান বুজে অলস জীবন কাটায়। এবং কিছু ব্যাঘাত ঘটলেই ভূতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই নিশ্চিন্তে বসে থাকে। তাই তাদের মধ্যে কোনাে অশান্তি, নড়াচড়া বা পরিবর্তন হয় না। এতে দেশের উন্নতি হােক কি না হােক, দেশের সকল লােক শান্তিতে বসবাস করে। তাই বাইরের আক্রমণ তাদের স্থবির জীবনকে আন্দোলিত করে না, কারণ প্রতিবাদের ভাষা এবং বিদ্রোহ করে ছিনিয়ে নেবার মনােভাব এদের কোনােকালে জেগে ওঠে না। যাই ঘটে তাই তাদের কাছে ভবিতব্য বা ভুতের ক্রিয়াকলাপ।
ব্যঙ্গের চাবুকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সমকালীন বৃহত্তর সমাজ মানসিকতার উপর এভাবেই আঘাত হেনেছেন। বাস্তব-চেতনা নিয়েই তিনি ভারতবাসীর মূল্যায়ন করেছেন। ভারতবাসী যত অত্যাচারিত হােক না কেন আদতে তারা শান্তিপ্রিয় মানুষ।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।