বচন কাকে বলে? বচনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।

বচন কাকে বলে? বচনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে। Class 12 | Bengali | 8 Marks

উত্তর :

বচন

বচন হল বাক্যের তর্কবিজ্ঞানসম্মত রপ | বাক্যে যেমন উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যে একপ্রকা এ একপ্রকার সম্বন্ধ ঘােষিত হয়, বচনের ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের একপ্রকার সম্বন্ধ ঘােষিত হয়। এরূপ সম্বন্ধ সদর্থকভাবেও ঘােষিত হতে পারে, আবার নং সে আবার নঞর্থকভাবেও ঘােষিত হতে পারে। এদের সম্বধ অবাির সাপেক্ষও হতে পারে, আবার শর্তহীনও হতে পারে। যাই হােক না কেন, একথা বলা যায় যে, বচন হল বাক্যের পরিশ্রুত তর্কবিজ্ঞানসম্মত রপ। তাই বচনই হল যুক্তির মূল উপাদান।

বচনের বৈশিষ্ট্য

কান বাক্যের পরিশ্রুত ও তকবিজ্ঞানসম্মত রূপ হলেও বচনের কতকগলি মৌলিক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলিকে নীচে উল্লেখ করা হল।

[1] বচনের মূল উৎস হল বাক্য। সুতরাং বাক্যকেই বচনের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে l বাক্য ছাড়া বচনের কোনাে অস্তিত্বই হতে পারে না। 

[2| প্রত্যেকটি বচনে একটি উদ্দেশ্য এবং একটি বিধেয় থাকে। শুধুমাত্র উদ্দেশ্যকে নিয়ে অথবা শুধুমাত্র বিধেয়কে নিয়ে বচন গঠিত হতে

[3] যে-কোনােবাক্যে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যে একটি সম্বন্ধকে ঘােষণা করা হয়ে থাকে অর্থাৎ, উদ্দেশ্য এবং বিধেয় যে পারস্পরিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, সেই বিষয়টিকেই উল্লেখ করা হয়। 

[4] উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধকে দু-ভাবে স্থাপন করা যেতে পারে— সদর্থকভাবে এবং নঞর্থকভাবে | 

[5] উদ্দেশ্য এবং বিধেয়ের মধ্যে যে সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা শর্তসাপেক্ষভাবেও হতে পারে, আবার তা শর্তনিরপেক্ষভাবেও হতে পারে। অর্থাৎ, উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধ শর্তাধীন অথবা শর্তহীন — দুইই হতে পারে। 

[6] যে-কোনাে বচনই যুক্তির উপাদান বা অবয়বরূপে গণ্য হতে পারে। কারণ, যুক্তি গঠিত হয় শুধুমাত্র বচন দিয়েই | সেকারণেই বচনগুলি যুক্তির অংশরূপে বিবেচিত। 

[7] বচনের প্রকৃতি বা স্বরূপের ওপরই যুক্তির স্বরূপ বা প্রকৃতি নির্ভর করে তাই বচন হল যুক্তির প্রকৃতি বা স্বরুপ নির্ণায়ক। 

[8] সমস্ত বচনই বাক্যরূপে গণ্য হলেও, সমস্ত বাক্যকে কখনােই বচনের মর্যাদা দেওয়া যায় না৷ 

[9] বচনের সঙ্গে সত্যতার প্রশ্নটি ওতােপ্রােতভাবে জড়িত। কারণ, প্রত্যেকটি বচনই হয় সত্যরূপে গণ্য হবে অথবা মিথ্যারূপে গণ্য হবে। সত্য ও মিথ্যা হওয়া ছাড়া বচনের আর তৃতীয় কোনাে শর্ত নেই।

[10] বচনের সত্যতার ওপর যুক্তির বৈধতা নির্ভরশীল অর্থাৎ, বচনের সত্য-মিথ্যার সাহায্যেই যুক্তির বৈধতা নির্ণয় করা যেতে পারে।

[11] বচনের প্রয়ােগক্ষেত্র বাক্যের প্রয়ােগ ক্ষেত্র অপেক্ষা অনেক কম কারণ, বচনকে আমরা শুধুমাত্র তর্কবিদ্যার যুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন ব্যাবহারিক জীবনে এর কোনাে প্রয়ােগ দেখা যায়

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment