বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায় কেন? Class 10 | Geography | 3 Marks‘
উত্তর: বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য সৃষ্টির কারণ: বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে শ্বাসমূল ও ঠেসমূলবিশিষ্ট উদ্ভিদের যে অরণ্য দেখা যায়, তাকে বলে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এখানে এই ধরনের অরণ্য গড়ে ওঠার কারণগুলি হল—
1. লবণাক্ত মাটি নরম ও আঠালাে হওয়ায় মাটির ভিতরে ঠিকমতাে বায়ু চলাচল করতে পারে না। এ ছাড়া, জোয়ারের জলে বনভূমি প্লাবিত হয় বলে গাছের শিকড়গুলির বায়ু থেকে অক্সিজেন সংগ্রহের জন্য বা শ্বাসকার্য চালানাের জন্য শ্বাসমূল থাকে।
2. বদ্বীপ এলাকায় অনবরত জোয়ারভাটা হয় ও সমুদ্রের ঢেউ এসে আঘাত করে এবং প্রচণ্ড জোরে বাতাস প্রবাহিত হয়। তাই, প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্যে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের গাছগুলির গােড়ায় ঠেসমূল থাকে।
3. জলময় পরিবেশে এই অরণ্য গড়ে ওঠে। বলে গাছের ফল বা বীজগুলি জলে পড়ে যাতে নষ্ট না হয় বা ভেসে অন্য কোথাও চলে না যায় তাই ফলগুলি মাটিতে পড়ামাত্র বা পড়ার আগেই তা থেকে অঙ্কুর বের হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় জরায়ুজ অঙ্কুরােদগম। এই অরণ্যে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেঁতাল, কেওড়া, পিটুলি প্রভৃতি গাছ জন্মায়। অব্যাহত জমি বা পতিত জমিতে বিশেষ বিশেষ বৃক্ষরােপণের মাধ্যমে বণ্য সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
সামাজিক বনসৃজনের জন্য উপযুক্ত ভূমি: 1. খাল ও নদীর পাড়ের জমি 2. রেলপথ ও সড়কপথের দু-পাশের ফাঁকা জমি, 3. পুকুর বা দিঘির পাড়, 4. খনি এলাকার অব্যবহৃত জমি, 5. বিদ্যালয়, অফিস, মহান প্রভৃতির উন্মুক্ত জায়গা, 6.পতিত জমি প্রভৃতি
উদ্দেশ্য :
- অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের সহায়তা করা,
- দেশে বিভিন্ন ধরনের কাঠের উৎপাদন বাড়ানাের মধ্য দিয়ে অব্যবহৃত, পতিত ও পরিত্যক্ত জমিকে লাভজনক কাজে ব্যবহার করা,
- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা, ও ভূমিক্ষয় রােধ করা,
- ফলমূলের উৎপাদন বাড়ানাে ইত্যাদি।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।