বারদৌলি সত্যাগ্রহ (১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ) – টীকা লেখাে । 

টীকা লেখাে : বারদৌলি সত্যাগ্রহ (১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ)।   4 Marks/Class 10

উত্তর: গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি তালুকে সরকার ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ৩০ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির কথা ঘােষণা করলে এখানকার কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেস নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে যে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করে, তা ‘বারদৌলি সত্যাগ্রহ’ নামে খ্যাত।

বারদৌলি সত্যাগ্রহ ও বল্লভভাই প্যাটেল : 

১) খাজনা বন্ধ : ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে বল্লভভাই প্যাটেল বারদৌলিতে এসে কৃষকদের খাজনা বন্ধ করার শপথ নিতে নির্দেশ দিলে হিন্দু কৃষকরা গীতা’ এবং মুসলিম কৃষকরা “কোরান’ ছুঁয়ে শপথ নেয় যে, সরকার প্রচলিত হারে খাজনা নিতে রাজি না হলে খাজনা দেওয়া বন্ধ করা হবে। এরপর বারদৌলি সত্যাগ্রহ শুরু হয়।

২) ১৩টি অঞ্চল : বল্লভভাই প্যাটেল বারদৌলি তালুককে ১৩টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলে অভিজ্ঞ নেতার হাতে আন্দোলন পরিচালনার ভার দিলেন।

৩) আন্দোলনে বাইরের সমর্থন : বারদৌলির কৃষকদের সমর্থনে বােম্বাই প্রদেশের বিভিন্ন অঞলে কৃষক আন্দোলনের হুমিক দেওয়া হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এই সত্যাগ্রহে শামিল হয়।

৪) মহিলা নেতৃবৃন্দ : মধুবেন প্যাটেল, মণিবেন প্যাটেল, ভক্তি বাঈ, শারদা মেহতা প্রমুখ নারী দেশপ্রেমের ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বারদৌলি সত্যাগ্রহে শামিল হয়।

উপসংহার : আন্দোলনের ব্যাপকতায় সরকার একটি ‘ব্লুমফিল্ড-ম্যাক্সওয়েল’ তদন্ত কমিশন বসাতে বাধ্য হল। কমিশন খাজনা বৃদ্ধিকে অন্যায় ও অবিবেচনাপ্রসূত কাজ বলে ঘােষণা করে ৬.০৩ শতাংশ খাজনা বৃদ্ধি অনুমােদন করে। শেষপর্যন্ত কৃষকরাও সংশােধিত হারে খাজনা দিতে সম্মত হলে বারদৌলি সত্যাগ্রহের পরিসমাপ্তি ঘটে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “বারদৌলি সত্যাগ্রহ (১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ) – টীকা লেখাে । ”

Leave a Comment