স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনােত্তর ভারতবর্ষে চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতি কেমন হয় ? 

স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনােত্তর ভারতবর্ষে চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতি কেমন হয় ? Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : ঔপনিবেশিক ভারত ও স্বাধীনােত্তর ভারতে চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ ছিল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই দুই পর্বের চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ।

১) কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা : ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার প্রসারের জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়। কালক্রমে এখানে এম বি বি এস ডিগ্রির পাশাপাশি এল এম এস, এম বি এবং এম ডি পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হয়। 

২) অন্যান্য মেডিকেল কলেজ : কলকাতা মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বােম্বাইয়ে গ্রান্ট মেডিকেল কলেজ (১৮৪৫ খ্রি.), লাহাের মেডিকেল কলেজ (১৮৬০ খ্রি.), লক্ষ্ণৌতে কিং জর্জ কলেজ (১৯০৬ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩) পেশাদারি চিকিৎসা : ডাঃ নীলরতন সরকার, ডাঃ বিধানচন্দ্র। রায়, ডাঃ সুন্দরীমােহন দাস প্রমুখ চিকিৎসকগণ অসাধারণ পেশাদারি দক্ষতা দেখান।

৪) স্বাধীনােত্তর ভারতে চিকিৎসাবিদ্যা : স্বাধীনােত্তর ভারতে চিকিৎসাবিদ্যার যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে। পরিকাঠামাে ব্রিটিশদের হাতে তৈরি হলেও, ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিধানচন্দ্র রায়ের প্রচেষ্টায়। কলকাতায় ভারতের প্রথম স্নাতকোত্তর চিকিৎসা বিদ্যায়তনের সূচনা হয়। 

 এ ছাড়া ভারতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল ও কুমুদশংকর রায় যক্ষ্মা হাসপাতাল, বােম্বাইয়ের টাটা ক্যানসার রিসার্চ ইন্সটিটিউট, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখযােগ্য। সম্প্রতি ডাঃ সৌম্যা স্বামীনাথন চিকিৎসাশাস্ত্রে দক্ষতার জন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার উপমহানির্দেশক হয়েছেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment