বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার পরিচয় দাও।

বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার পরিচয় দাও। 4 Marks/Class 10

উত্তর:

ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাশ্চাত্য শিক্ষাধারার বিকল্প জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরূপে শান্তিনিকেতনে ব্ৰত্মচর্য আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এই প্রতিষ্ঠানকে একটি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান রূপে গড়ে তােলার আকাঙ্ক্ষা থেকেই গড়ে ওঠে বিশ্বভারতী। 

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা : ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বভারতী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনার তিনটি স্তর ছিল যথা— 

১) ভারতীয় সংস্কৃতি : ভারতের সমগ্র রূপ উপলদ্ধি করতে ভারতের নানা সংস্কৃতিকে (বৈদিক, বৌদ্ধ, জৈন ও মুসলমান) তুলে ধরা প্রয়ােজন বলে তিনি মনে করতেন। 

২) প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিলন : ভারতসহ প্রাচ্যের আদর্শ ও বাণীকে বিশ্বে তুলে ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিলন ঘটানাে এবং বিশ্বভারতীকে বিশ্ব মানবতার মিলন ক্ষেত্রে পরিণত করা। 

৩) বিদ্যা উৎপাদন : তাঁর মতে, বিশ্বভারতীর মূল কাজ হবে বিদ্যার উৎপাদন, বিদ্যা বিতরণ হবে গৌণ কাজ। 

৪) উৎপাদন-শিক্ষা : শিক্ষার্থীদের অর্থশাস্ত্র, কুষি-তত্ত্ব, নানা ব্যাবহারিক বিদ্যাশিক্ষা ও বিশ্বভারতীর চতুর্দিকে তার প্রয়ােগের ব্যবস্থা করাও ছিল তার চিন্তা-ভাবনার বিশেষ দিক। এরই সূত্র ধরে শ্রীনিকেতনের প্রতিষ্ঠা করা হয়।

উপসংহার : প্রথাগত শিক্ষার নিয়ম ভেঙে শিক্ষাকে আনন্দপাঠ ও বৃত্তিমুখী করে তােলার লক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী গড়ে তােলেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment