হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করাে। 

প্রশ্ন: হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করাে।  [ 5 Marks ]

অথবা, হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি চিত্র সহ বর্ণনা করাে। 

উত্তর: হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হলাে—

1. বহিঃবিধৌত সমভূমি : হিমবাহ গলিত জল  যখন গ্রাবরেখার প্রান্তভাগ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন হিমবাহ গলিত জলের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকারাশি ও কর্দমকণা গ্রাবরেখার প্রান্তভাগে সঞ্চিত হয়ে যে বিশাল সমতলভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে।

বহিঃবিধৌত সমভূমি

2. ড্রামলিন : বহিঃবিধৌত সমভূমির উপর হিমবাহ দ্বারা বাহিত নুড়ি, বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি সঞ্জিত হয়ে উল্টানাে নৌকা বা চামচের মতাে যে ভূমিরুপ তৈরি হয়, তাকে ড্রামলিন বলে।

ড্রামলিন

3. কেম ও এস্কার : হিমবাহ বাহিত নুড়ি, বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় যে ভূমিরুপ গঠন করে তাকে কেম বলে। হিমবাহের তলদেশে নুড়ি, বালি, পলি, কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে গঠিত হওয়া আকাবাঁকা সংকীর্ণ শৈলশিরাকে বলা হয় এস্কার।

কেম ও এস্কার

4. কেটল ও কেটল হ্রদ : বহিঃবিধৌত সমভূমিতে অনেক সময় বরফের টুকরাে থেকে যায়। পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরােগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে। এ জাতীয় গর্তকে বলা হয় কেটল। আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে, তাকে বলা হয় কেটল হ্রদ।

কেটল ও কেটল হ্রদ

Read Also

হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করাে।

মরু অঞলের প্রসারণের কারণ ও প্রতিরােধের উপায় কী তা আলােচনা করাে।

বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করাে।

বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করাে।

মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরপগুলি চিত্র সহ বর্ণনা

পৃথিবীর মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্যের কারণ কী তা আলােচনা করাে।

নদীর বহন ক্ষমতা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে? সুন্দরবন অঞ্চলের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কী তা সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment