বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবদান | Hrithik Ghatak’s contribution to Bengali cinema

উত্তর:

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটক এক স্মরণীয় অধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের সমসাময়িক যুগে যারা বাংলা সিনেমা নির্মাণে অনন্যতার বিরল স্বাক্ষর রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ঋত্বিক ঘটক অগ্রগণ্য।

ঋত্বিক ঘটকের প্রথম ছবি হল ‘নাগরিক’ কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে সিনেমাটি প্রায় ২৫ বছর পর মুক্তি পায়। ১৯৫৮ সালে তিনি নির্মাণ করেন ‘অযান্ত্রিক’ সিনেমাটি। এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ ছবি। সিনেমায় মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন, এরা নিখুঁত ব্যবহার এবং সংগীতের সার্থক প্রয়োগ দর্শকদেরকে মুগ্ধ করেছিল। এরপর ষাটের দশকে তিনি পরপর তিনটি ছবি নির্মাণ করেন – “মেঘে ঢাকা তারা”, “কোমরের গান্ধার” ও “সুবর্ণরেখা” – এই ছবিগুলিতে দেশভাগের যন্ত্রণার বাস্তব চিত্রকে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তাছাড়া ছবিগুলির সাংকেতিক আয়োজন ছিল স্বতন্ত্র এবং ব্যতিক্রমী। এরপর ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে তিনি নির্মাণ করেন “তিতাস একটি নদীর নাম”। এটি তার একটি অবিস্মরণীয় মহাকাব্যিক সৃষ্টি। সবশেষে তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ সিনেমাটি।

ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রগুলিতে শৈল্পিকতার চাইতেও মানবিকতা বেশি করে বিকশিত হয়েছে। আবেগে, মননে, সংলাপে কিংবা দৃশ্যের সংঘর্ষ নির্মাণে প্রতিক্ষেত্রেই তিনি অভিনবত্বের দাবিদার। তার বেশ কিছু সিনেমায় এমন কিছু আবেগঘন মুহূর্ত নির্মিত হয়েছিল, যা দর্শকদের মনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন সময়ের চাইতে এগিয়ে থাকা একজন দুর্লভ চলচ্চিত্র প্রতিভা।

আরো পড়ুন

বাঙালির চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান | HS Bengali Suggestion 2024

বাংলা চলচ্চিত্রে মৃণাল সেনের অবদান | HS Bengali Suggestion 2024

বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবদান | Hrithik Ghatak’s contribution to Bengali cinema

পট কথার অর্থ কী | লোক শিল্পে পটের অবদান আলোচনা করো

তোমরা হাত বাড়াও তাকে সাহায্য করো – লেখক কাকে, কীভাবে কেন সাহায্য করতে বলেছেন

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment