কেন কিছু দেশবাসীর ভূতশাসনতন্ত্র নিয়ে দ্বিধা জাগল? Mark 5 | Class 11
উত্তর:- ‘কর্তার ভূত’ রচনায় রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন যে আমাদের দেশ কীভাবে ভূতের দ্বারা পরিচালিত। এখানে রাজার রাজতন্ত্র, জনগণের গণতন্ত্র, প্রজার প্রজাতন্ত্র কোনােটাই গড়ে ওঠেনি—কারণ মানুষ অতীতকে এতটাই ভালােবেসে ফেলেছে যে অতীতের ভূতকেও জোর করে আঁকড়ে ধরে আছে। প্রাচীন নিয়মকানুন বা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে এরা দিব্যি নিশ্চিন্তে দিন কাটাচ্ছে। এই ভূতশাসনতন্ত্রে তারা সব কিছু দেখেশুনেও না দেখার ভান করে চোখ বুজে ঘুমিয়ে রয়েছে। কোনােরকম পরিবর্তন এদেশকে স্পর্শ করতে পারে না। তাই এদেশের উন্নতিও ঘটে না। এই ভূতশাসনতন্ত্র নিয়ে কারাের মনে কোনােরকম দ্বিধা জেগে উঠত না। এমনভাবেই তাদের দিন চলত যাতে চিরকালই তারা গর্ব করতে পারত যে এদের ভবিষ্যৎটা পােষা ভেড়ার মতাে ভূতের খোঁটায় বাধা। কিন্তু পৃথিবীর অন্যসব দেশগুলােকে এদেশের মতাে ভূতে পায়নি। তারা তাদের পুরােনাে বস্তাপচা নিয়ম কানুনগুলােকে বহুদিন আগে ঝেড়ে ফেলে আধুনিকতাকে সসম্মানে গ্রহণ করেছে। তাই এরা অগ্রগতির চরম শীর্ষে অবস্থান করছে, যা দেখে সকলে ঈর্ষান্বিত না হয়ে পারছে না। তাই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টিকে থাকতে গেলে এদেশের নিয়মকানুনের পরিবর্তন প্রয়ােজন। ভূতকে ঘাড় থেকে নামাতে না পারলে আধুনিক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এদেশের পদানত হবে না। এ কথাই লেখক বলতে চেয়েছেন।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।