বাংলা চলচ্চিত্রে মৃণাল সেনের অবদান | HS Bengali Suggestion 2024

উত্তর:

বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে যেসব চলচ্চিত্র নির্মাতারা আপন প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছিলেন, তাদের মধ্যে মৃণাল সেন অন্যতম।

মৃণাল সেনের প্রথম ছবি ‘রাত ভোর’ – যদিও এই ছবি সাফল্যের আলো পায়নি। তার দ্বিতীয় ছবি ‘নীল আকাশের নিচে’ তাঁকে কিছুটা সাফল্য এনে দেয়।vএরপর তিনি নির্মাণ করেন “বাইশে শ্রাবণ” এবং “আকাশ কুসুম” নামে পরপর দুটি সিনেমা, দুর্ভাগ্যবশত এই দুটিও সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি।

সত্যজিৎ রায় কিংবা ঋত্বিক ঘটকের মতই প্ৰথম সিনেমা থেকেই তিনি সাফল্যের মুখ দেখতে না পেলেও ১৯৬৯ সালে হিন্দি ভাষায় তৈরি ‘ভুবন সোম’ সিনেমাটি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর সত্তরের দশকের অস্থির কলকাতার রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তিনি ‘ইন্টারভিউ’, ‘কলকাতা ৭১’, ‘পদাতিক’ ‘কোরাস’ -এর মতো বেশ কিছু ছবি নির্মাণ করেন । তিনি বর্ণনামূলক গল্প বলার চিরাচরিত রীতিকে এড়িয়ে কোলাজধর্মীতার মধ্যে দিয়ে কাহিনীকে উপস্থাপন করেছিলেন।

পরবর্তীকালে তিনি ‘মৃগয়া’, ‘পরশুরাম’, ‘একদিন প্ৰতিদিন’, ‘খারিজ’ প্রভৃতি ছবিগুলিতে সামাজিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও জটিলতার দিকে বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

চলচ্চিত্র সমালোচক অজয় কুমার দে তাঁর প্রতিভার মূল্যায়ন প্রসঙ্গে যথার্থই বলেছেন “পুরাতন ভেঙ্গে নতুনের জন্ম হবে এটাই তার আর্তি। এই আর্তিকেই রূপ দিয়েছেন তাঁর ছবিতে”। সত্যিই, প্রথম পর্বের সাফল্য না এলেও ছক ভাঙ্গার অনন্যতা তাঁকে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক স্তরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকে উন্নীত করেছিল।

আরো পড়ুন

বাঙালির চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান | HS Bengali Suggestion 2024

বাংলা চলচ্চিত্রে মৃণাল সেনের অবদান | HS Bengali Suggestion 2024

বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবদান | Hrithik Ghatak’s contribution to Bengali cinema

পট কথার অর্থ কী | লোক শিল্পে পটের অবদান আলোচনা করো

তোমরা হাত বাড়াও তাকে সাহায্য করো – লেখক কাকে, কীভাবে কেন সাহায্য করতে বলেছেন

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment