সর্বভারতীয় কিষান সভা (১৯৩৬ খ্রি.) – টীকা লেখাে। 

টীকা লেখাে : সর্বভারতীয় কিষান সভা (১৯৩৬ খ্রি.)।   4 Marks/Class 10

উত্তর:- বিশ শতকের ত্রিশের দশকে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল ও কমিউনিস্ট দল কিষান আন্দোলনগুলি পরিচালনা করে। সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্টদের যৌথ প্রচেষ্টায় ফলশ্রুতি হল সর্বভারতীয় বা নিখিল ভারত কিষান সভা গঠন।

সর্বভারতীয় কিষান সভা গঠন : অধ্যাপক এন জি রঙ্গের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কিষান সংগঠনের (১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ) লখনউ অধিবেশনে সর্বভারতীয় কিষানসভা গঠিত হয়। বিহারের বিখ্যাত কিষাননেতা স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন সর্বভারতীয় কিষান সভার প্রথম সভাপতি এবং এন জি রঙ্গ ছিলেন প্রথম সাধারণ সম্পাদক। জয়প্রকাশ নারায়ণ, রাম মনােহর লােহিয়া, ইন্দুলাল যাজ্ঞিক, নাম্বুদ্রিপাদ এই কিষান সভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

সর্বভারতীয় কিষান সভা গঠনের উদ্দেশ্যে : ইন্দুলাল যাজ্ঞিক কিষান বুলেটিনে এই সভার যে উদ্দেশ্য ঘােষণা করেন, সেই উদ্দেশ্যগুলি হল— (১) কৃষকদের অর্থনৈতিক শােষণ ও রাজনৈতিক অসাম্য দূর করা, (২) জমিদারি প্রথার বিলােপ, (৩) কৃষিঋণ মকুব বা কৃষকের গৃহীত ঋণ পরিশােধের জন্য বিলম্বিত ব্যবস্থা, (৪) বেগার শ্রমের বিলােপ, (৫) ভূমিহীনদের ভূমিদান, (৬) কৃষকের জমিতে স্থায়ী স্বত্ব প্রদান, (৭) অরণ্যের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।

গুরুত্ব : সর্বভারতীয় কিষান সভা গঠনের মধ্য দিয়ে কৃষক। শ্রেণ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ শুরু করে এবং দেশের মুক্ত সংগ্রামে ভারতীয় জনগণের বৃহত্তম অংশ শামিল হওয়ার সুযােগ পায়। 

উপসংহার : রুশ ঐতিহাসিক জি কটোভস্কির মতে, ভারতের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে সর্বভারতীয় কিষাণ সভার প্রতিষ্ঠা ছিল একটি স্মরণীয় ঘটনা।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!