ভারতে সংগঠিত দুটি পরিবেশ আন্দোলনের নাম লেখাে।

প্রশ্ন : ভারতে সংগঠিত দুটি পরিবেশ আন্দোলনের নাম লেখাে। 2 Marks উত্তর : ভারতে অনুষ্ঠিত দুটি পরিবেশ আন্দোলন হল— প্রথমত, ১৯৬০-এর দশকে উত্তরপ্রদেশের আদিবাসী নারী-পুরুষ, সরলা বেন ও সুন্দরলাল বহুগুণার নেতৃত্বে অরণ্য সংরক্ষণ আন্দোলন গড়ে ওঠে যা ‘চিপকো আন্দোলন’ নামে পরিচিত।  দ্বিতীয়ত, উত্তরাখণ্ডের গাড়ােয়াল জেলায় ভাগীরথী ও ভীলাঙ্গনা নদীর সংযােগস্থলে অবস্থিত তেহেরি শহরকে জনমুক্ত করে … Read more

পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী?

প্রশ্ন : পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী? 2 Marks উত্তর : পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্বগুলি হল—  প্রথমত, মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে পরিবেশের ভূমিকা চিহ্নিত করে পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা করা।  দ্বিতীয়ত, পরিবেশ সংকট ও তার প্রকৃতি, পরিবেশ বিপর্যয় ও তার ভয়াবহতা, বাসস্থানের সুস্বাস্থ্য, অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও তার প্রয়ােগের ব্যবস্থা করা। তৃতীয়ত, পরিবেশের … Read more

পরিবেশের ইতিহাস কী? 

প্রশ্ন : পরিবেশের ইতিহাস কী?  2 Marks উত্তর : পরিবেশের অর্থাৎ, প্রকৃতি জগতের সঙ্গে মানবসমাজের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ইতিহাসই হল পরিবেশের ইতিহাস। এই ইতিহাসের বিভিন্ন দিকগুলি হল— প্রথমত, সুপ্রাচীন কালে মানুষের আবির্ভাব হয়। পশুশিকারি জীবন থেকে আধুনিক মানবসভ্যতার উত্তরণের পিছনে পরিবেশের ভূমিকা ও অবদানকে চিহ্নিত করাই এই ইতিহাসের মূল বৈশিষ্ট্য। দ্বিতীয়ত, ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে … Read more

সামরিক ইতিহাস বলতে কী বােঝায়?

প্রশ্ন : সামরিক ইতিহাস বলতে কী বােঝায়? 2 Marks উত্তর : প্রাচীনকাল থেকে সংঘর্ষের মাধ্যমে ইতিহাসের গতি বয়ে চলেছে। যুদ্ধের প্রেক্ষাপট, যুদ্ধাস্ত্রের বিবর্তন, সামরিক বাহিনীর প্রকৃতি ও সমরকুশলতা, যুদ্ধের প্রকৃতি ও প্রভাবকে তুলে ধরা হল সামরিক ইতিহাস। এই প্রসঙ্গে — প্রথমত, পেলােপনেসীয় যুদ্ধ, রামায়ণ ও মহাভারতের যুদ্ধসহ প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানের সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় … Read more

শহরের ইতিহাস কী ?

প্রশ্ন : শহরের ইতিহাস কী ?2 Marks উত্তর : শহরের উদ্ভব, বিকাশ, বিস্তার ও অবক্ষয় সম্পর্কিত তথ্যের চর্চা হল শহরের ইতিহাস। এই ইতিহাসের দিকগুলি হল—  প্রথমত, শহরের বাসিন্দা ও তাদের সমাজবিন্যাস এবং তাদের কার্যকলাপসহ শহরের আর্থ-রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে চিহ্নিত করা। দ্বিতীয়ত, ১৯২০-র দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শহরের ইতিহাসচর্চার সূচনা হয়; শহরের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিকরা হলেন— … Read more

ইতিহাসচর্চায় স্থানীয় ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী?

প্রশ্ন : ইতিহাসচর্চায় স্থানীয় ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী? 2 Marks উত্তর : স্থানীয় ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব হল—  প্রথমত, এই ইতিহাসের মাধ্যমে অনালােকিত বিশেষ বিশেষ স্থানের পারিবারিক ও লােকপরম্পরার ইতিহাস, শিল্প স্থাপত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস জানা সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় ইতিহাস যেহেতু একটি অঞ্চলের যেমন গ্রামের বা শহরের ইতিহাস তাই এই ইতিহাসের পরিসর সীমিত। কিন্তু বৃহত্তর জাতীয় ইতিহাস … Read more

স্থানীয় ইতিহাস বলতে কী বােঝায়? স্থানীয় ইতিহাসের প্রায়ােগিক বৈশিষ্ট্য কী? 

প্রশ্ন : স্থানীয় ইতিহাস বলতে কী বােঝায়? স্থানীয় ইতিহাসের প্রায়ােগিক বৈশিষ্ট্য কী?  2 Marks উত্তর : ভৌগােলিকভাবে স্থানীয় প্রেক্ষিতে স্থানীয় সম্প্রদায়, ব্যক্তি বা বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ইতিহাসই হল স্থানীয় ইতিহাস। এই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—  প্রথমত, স্থানীয় জনশ্রুতি, মিথ বা অতিকথন, মৌখিক পরম্পরাকে ভিত্তি করে স্থানীয় ইতিহাস রচনা করা হয় এবং বিভিন্ন স্থানীয় ইতিহাসের … Read more

নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান কী ছিল?

প্রশ্ন : নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান কী ছিল? অথবা আধুনিক বাংলার দৃশ্যশিল্পের বিকাশে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান লেখাে। 2 Marks উত্তর : নব্যবঙ্গীয় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ, যেমন— প্রথমত, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমে ইউরােপীয় রীতিতে ছবি আঁকতেন, কিন্তু এই রীতির পরিবর্তে চিত্রশিল্পে দেশীয় ঐতিহ্য প্রবর্তন করে বেঙ্গল বা ওরিয়েন্টাল আর্টের ভিত্তি স্থাপন করেন। দ্বিতীয়ত, প্রাচীন … Read more

ভারতে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার প্রবর্তন কীভাবে হয়? 

প্রশ্ন : ভারতে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার প্রবর্তন কীভাবে হয়?  2 Marks উত্তর : ভারতে রেলপথের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামরিক প্রয়ােজনে টেলিগ্রাফের বিস্তার ঘটেছিল। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রথমে কয়েক মাইল জুড়ে টেলিগ্রাফের বিস্তার ঘটলেও ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে ৪৬টি টেলিগ্রাফ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৪,২৫০ মাইল এলাকা টেলিগ্রাফ যােগাযােগের আওতায় আসে।

ভারতে রেলপথ ব্যবস্থার প্রবর্তন কীভাবে হয়? 

প্রশ্ন : ভারতে রেলপথ ব্যবস্থার প্রবর্তন কীভাবে হয়? 2 Marks উত্তর : মূলত অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে রেলপথ ব্যবস্থার প্রবর্তন করে (২৬ এপ্রিল, ১৮৫৩ খ্রি.)। প্রথমে মহারাষ্ট্রের বােম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত ছিল এর ব্যাপ্তি। পরবর্তীকালে ‘গ্যারান্টি প্রথার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন স্থানে রেলপথের বিকাশ ঘটে।