“তারা ভয়ংকর সজাগ আছে।”—কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের এমন ভয়ংকর সজাগ থাকার কারণ কী? Mark 5 | Class 11
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ ছােটোগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিটিতে বিদেশিদের কথা বলা হয়েছে। ভূতগ্রস্ত ভারতবাসীর কথা বলতে গিয়ে এ গল্পে বলা হয়েছে যে, পৃথিবীর অন্য দেশগুলােকে ভূতে পায় নি। আমাদের দেশের ঘানি থেকে বেরােনাে পেষণকারীর রক্ত ভূতের মাথার খুলিতে ঢালতেই ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া, সেকাজে পেষণকারীর তেজ ও শক্তি নির্গত হয়ে যায় বলে তা পেষণকারীকে ঠান্ডা ও নির্জীব করে তােলে। বিদেশের মানুষকে ভূতে পায়নি বলে বিদেশের ঘানি থেকে কেবল তেলই বের হয়, পেষণকারীর রক্ত বা শক্তি নয়। সে-তেল সেসব দেশের উন্নয়নের রথচক্রকে সচল করতেই ব্যবহৃত হয়। এ কারণেই ভূতে-না-পাওয়া বিদেশিরা শীতল হয়ে যায়নি, তারা সজাগ আছে। ভূতগ্রস্ত অর্থাৎ ধর্মতন্ত্রগ্রস্ত দেশবাসী ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ এবং তার চিন্তা-চেতনাতেই তার শক্তি নিঃশেষিত করে ফেলে বলেই তারা প্রতিবাদহীন শান্ত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ধর্মতন্ত্রের মােহজালে আচ্ছন্ন না থাকায় বিদেশিরা তাদের সমাজ ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “আজ য়ুরােপের ছােটোবড়াে যে-কোনাে দেশেই জনসাধারণ মাথা তুলিতে পারিয়াছে, সর্বত্রই ধর্মতন্ত্রের অন্ধকতৃত্ব আলগা হইয়া মানুষ নিজেকে শ্রদ্ধা করিতে শিখিয়াছে।” এ কারণেই বলা হয়েছে যে, তারা ভয়ংকর সজাগ আছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।