রবীন্দ্রনাথের ‘কর্তার ভূত’ রচনাটির ভাষাশৈলী তথা রচনাশৈলী পর্যালােচনা করাে। 

রবীন্দ্রনাথের ‘কর্তার ভূত’ রচনাটির ভাষাশৈলী তথা রচনাশৈলী পর্যালােচনা করাে। Mark 5 | Class 11

উত্তর:- রবীন্দ্রনাথের ‘লিপিকা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘কর্তার ভূত’ ছােটোগল্পটির বাইরের আখ্যানের আড়ালে লুকিয়ে আছে আর একটি সমান্তরাল অন্তর্নিহিত আখ্যান, যেটিই মুখ্য। রূপকের আড়ালে এ গল্পের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন যে, আধুনিককালেও প্রাচীন সভ্যতার ধর্মতন্ত্রে আচ্ছন্ন হয়ে দেশবাসী কেমন যুক্তি বুদ্ধি-বিচার-বিবেচনাহীন হয়ে দিন কাটিয়ে চলেছে। সূক্ষ্ম ব্যঙ্গের সহায়তায় এবং রূপকথা ও লােকসাহিত্যের বিভিন্ন অনুষঙ্গকে ব্যবহার করে এই রূপকাৰ্থটি লেখক এ গল্পে প্রকাশ করেছেন। এ গল্পে তাই ভূত-প্রেত-দত্যি দানাের প্রসঙ্গ এসেছে, এসেছে ভগবানের প্রসঙ্গও। “খােকা ঘুমােলাে, পাড়া জুড়ােলাে’—এই অতিপরিচিত ছেলেভুলানাে ছড়াটির প্রথম দুই পঙক্তির টুকরাে টুকরাে অংশকে এ গল্পে ব্যবহার করে লেখক যেমন দেশবাসীর নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থাকে তুলে ধরেছেন, তেমনি উপস্থাপিত করেছেন তাদের পশ্চাৎমুখিতাকে। আর তা করতে গিয়ে লেখক ব্যবহার করেছেন গদ্যকাব্য রচনার উপযােগী সহজসরল, ভাবপ্রবণ ভাষা। সুতরাং শুধু বিষয়গত দিক দিয়েই নয়, রচনাশৈলীর দিক দিয়েও ‘কর্তার ভূত’ ছােটোগল্পটি একটি প্রতিনিধিস্থানীয় রচনা।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment