উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা প্রমাণের ক্ষেত্রে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান কী? বৃদ্ধিজ ও প্রকরণ চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা প্রমাণের ক্ষেত্রে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান কী? বৃদ্ধিজ ও প্রকরণ চলন কাকে বলে? Class 10 | Life Science (জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্নয়) | 5 Marks

উত্তর:-

জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান: উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা প্রমাণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি লজ্জাবতী ও বনাড়াল উদ্ভিদ দুটি নিয়ে তাদের সাড়াপ্রদান সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। তিনি নিজের আবিষ্কৃত ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদ দুটির চলন নির্ণয় করে উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা প্রমাণ করেন। ক্রেসকোগ্রাফ একটি অত্যন্ত সুবেদী যন্ত্র যা উদ্ভিদের সামান্যতম সাড়াপ্রদানও পরিমাপ করতে পারে। এই যন্ত্রের সাহায্যে প্রাপ্ত গ্রাফ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানী বসু আবিষ্কার করেন যে— 1) প্রাণীর মতােই, উদ্ভিদদেহেও ছন্দোবদ্ধ ক্রিয়া সম্পন্ন হয় যা উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা তথা চলন নিয়ন্ত্রণ করে, 2) বাহ্যিক বিভিন্ন উদ্দীপনা, যেমন—স্পর্শ, তাপ, ঠান্ডা, বিষ প্রভৃতি কোশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায় যা উদ্ভিদের সাড়াপ্রদানে সাহায্য করে। 

বৃদ্ধিজ চলন ও প্রকরণ চলন: উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশের অসমান বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্ভিদ-অঙ্গের যে চলন সম্পন্ন হয়, তাকে বৃদ্ধি চলন বলে। যেমন—ক্রমাগত একই দিকে বৃদ্ধির কারণে উদ্ভিদের আকর্ষের অবলম্বনের চারপাশে পেচিয়ে যাওয়া। কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদের পরিণত অংশে যে চলন দেখা যায়, তাকে প্রকরণ চলন বলে। যেমন, বনাড়ালে পার্শ্বীয় পত্রকের চলন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment