টীকা লেখাে : ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি। 4 Marks/Class 10
উত্তর:- অসহযােগ আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়লে ভারতে কমিউনিস্টদের নেতৃত্ব দেন শ্রমিক ও কৃষকদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে ‘ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি’ (১৯২৮ খ্রি.)।
গঠন : শ্রমিক-কৃষকদের লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ‘দি লেবার স্বরাজ পার্টি অব দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস’-এর নাম পরিবর্তন করে পরবর্তীকালে মুজাফফর আহমেদ, কবি নজরুল ইসলাম, এস এ ডাঙ্গে, কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং হেমন্ত কুমার সরকারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘পেজেন্টস্ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় এর নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ‘ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি” (“Workers and Peasants Party’) আত্মপ্রকাশ করে।
উদ্দেশ্য : ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টির উদ্দেশ্যগুলি হল— (১) শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ (২) বাকস্বাধীনতা অর্জন, (৩) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অর্জন, (৪) জমিদারি প্রথার বিলােপসাধন এবং (৫) সর্বনিম্ন মজুরি আইন প্রবর্তন ইত্যাদি।
কার্যকলাপ : এই সংগঠনটি তার উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে যে আন্দোলনগুলি চালিয়েছিল, জাতীয় কংগ্রেসও সেইসব আন্দোলনের প্রতি পরােক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে সহানুভূতি দেখিয়েছিল। কলকাতার ধাঁচে পরবর্তীকালে পাঞ্জাব ও বােম্বাই সমেত আরও অন্যান্য অঞ্চলে এইরূপ সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। তবে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে সংগঠনটি সাফল্য পেলেও কৃষকদের সংগঠিত করা ক্ষেত্রে সাফল্য ছিল ক্ষীণ।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
Good
I am replying to this post on our answer of a nice 👍👍