অথবা, আধুনিক ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারী নথিপত্র ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা এবং সংবাদপত্রের অবদান লেখাে।
অথবা, আধুনিক ইতিহাস রচনার মূল বিষয় ও উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও | আধুনিক ইতিহাস তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য
উত্তর : প্রাচীন ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদানের স্বল্পতা থাকলেও আধুনিক যুগের ভারত সম্পর্কে সে কথা খাটে না। আধুনিক ভারত ইতিহাস রচনার উপাদান বহু এবং বিচিত্র। যথা –
১) সরকারি নথিপত্র : আধুনিক ভারত ইতিহাস রচনার উপাদানগুলির মধ্যে সরকারি নথিপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি নথিপত্রের মধ্যে পড়ে সরকারি প্রতিবেদন, চিঠিপত্র, ডায়েরী, পুলিশ ও গােয়েন্দা রিপাের্ট প্রভৃতি। উক্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে।
২) স্মৃতিকথা ও আত্মজীবনী : স্মৃতিকথা ও আত্মজীবনী হল আধুনিক ইতিহাস রচনার অন্যতম উপাদান। লেখকের ফেলে আসা অতীত জীবনের কাহিনী ও স্মৃতিচারণ হল আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা। প্রত্যক্ষ ও বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে রচিত উক্ত উপাদানগুলি ইতিহাসের মূল্যবান উপাদান হিসাবে স্বীকৃত।
৩) চিঠিপত্র ও ডায়েরী : ইতিহাসের উপাদান হিসাবে চিঠিপত্র ও ডায়েরীর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে রাজা রামমােহন রায়, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখের প্রেরিত চিঠিপত্রের কথা বলা যায়।
৪) সাময়িক পত্র-পত্রিকা সংবাদপত্র : পত্র-পত্রিকা ও সংবাদপত্রগুলি প্রকাশিত, আলােচিত বিষয় ও ঘটনা প্রবাহ ইতিহাসের তথ্য ভান্ডারকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। | তবে উপাদানগুলি ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন প্রয়ােজন। কেননা উপাদানের সব তথ্যই সঠিক নয়। এগুলির সঠিক তথ্যগুলিকে নির্ধারণ করে নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনা করতে হবে।
Read Also
নারী ইতিহাস চর্চার উপর সংক্ষিপ্ত টীকা রচনা করাে ?
আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও?
আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখাে?
ইতিহাসের উপাদান হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতির অবদান?
আধুনিক ভারত ইতিহাসের উপাদানরূপে বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বৎসর’-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।