আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখাে?

আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখাে?

উত্তর : আধুনিক ভারত ইতিহাস রচনার উপাদান বহু ও বৈচিত্র্যময়। এই উপাদানগুলির মধ্যে লিখিত উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই লিখিত উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ।

১) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা : লেখক বা কোন ব্যক্তি তার অতীত জীবনের ফেলে আসা দিনগুলির কথা, অতীতের অভিজ্ঞতার কথা, নিজস্ব জীবনের বিভিন্ন ঘটনা যখন কোন জীবনী গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন তা আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথারূপে পরিগণিত হয়।

২) বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা : ভারত ইতিহাসে আমরা প্রচুর আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক জীবনী গ্রন্থের উল্লেখ পাই। এগুলির মধ্যে বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বৎসর’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি’, সরলাদেবীর ‘জীবনের ঝরাপাতা’, কেশবচন্দ্র সেনের ‘জীবনবেদ’, আশালতা সরকারের ‘আমি সূর্যসেনের কন্যা’, মনিকুন্তলা সেনের ‘সেদিনের কথা, সুফিয়া কামালের ‘একাত্তরের ডাইরি’ প্রভৃতি নাম উল্লেখযােগ্য।

গুরুত্ব : আধুনিক ইতিহাস রচনায় আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলি -১) লেখকের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দেয় ২) সমসাময়িককালের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তােলে। ৩) স্থানীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। ৪) জাতীয় ইতিহাসের বহু অনালােচিত, অনালােকিত এবং উপেক্ষিত বিষয়ের উপর আলােকপাত করে। ৫) অতীত ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করে ও জাতীয় চেতনা গড়ে তােলে।

Read Also

নারী ইতিহাস চর্চার উপর সংক্ষিপ্ত টীকা রচনা করাে ?

আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও?

আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখাে?

ইতিহাসের উপাদান হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতির অবদান?

আধুনিক ভারত ইতিহাসের উপাদানরূপে বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বৎসর’-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

4 thoughts on “আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখাে?”

    • আত্মজীবনী :

      যখন কেউ অকপটে নিজের জীবন কথা নিজেই লেখেন তখন তাকে আত্মজীবনী বলা হয়। যেমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা আত্মজীবনী টি হল “প্রভাবতী সম্ভাষণ”।

      স্মৃতিকথা :

      জীবনের নানা ঘটনা যা স্মৃতিপটে লেগে থাকে এবং পরে যদি কেউ নিজের সেই স্মৃতিগুলো কে সংগঠিত করেন তবে তাকে স্মৃতি কথা বলা হয়। যেমন – বিপিনচন্দ্র পালের লেখা “সত্তর বৎসর” একটা আদর্শ স্মৃতিকথার উদাহরণ।

      Reply
    • Kub valo lagche pore agee amer ei questions golor ans niye kub tension kortam kintu akane ans golo porer sob voy chole galo…..

      Reply

Leave a Comment