প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 8 এর বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর লেখা বোঝাপড়া কবিতা রয়েছে। কবিতার শেষে অনুশীলনীর যে সব প্রশ্ন গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
বোঝাপড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হাতে কলমে
১.১ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন?
উত্তর:- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন।
১.২ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসাবে গাওয়া হয়?
উত্তর:- ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
২. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়। – কোনটি সবার চেয়ে শ্রেয়?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় কবি বুঝিয়েছেন, জীবনের নানা খারাপ অবস্থার মধ্যে হতাশ হয়ে হাল না ছেড়ে, ভেঙে না পড়ে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। এটিই সবার শ্রেয়।
২.২ ‘ঘটনা সামান্য খুবই। কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বোঝাপড়া কবিতায় কবি বলেছেন, আমাদের জীবনে অনেক সময় যেখানে বিপদের কোনো আশঙ্কা থাকে না সেখানেই বিপদ ঘটে যায়। কেউ এই আকস্মিক ঘটনা সহ্য করে নিতে পারে কেউ পারে না। এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। বিশ্ব সংসারে মানুষের জীবনে হঠাৎ নেমে আসা বিপদ বা আঘাতকে সামান্য ঘটনা বলা হয়েছে।
২.৩ তেমন করে হাত বাড়ালে / সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’ — উদ্ধৃতিটির নিহিতার্থ স্পষ্ট করো।
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন, জীবনে আমরা যা চাই, সব সময় তা পাইনা। না পাওয়ার বেদনা আমাদের মনকে ভারী করে তোলে। কিন্তু আমরা যদি সামর্থ্যের সাথে চাহিদাগুলোর সামঞ্জস্য বজায় রাখি, তবে সহজেই জীবনে সুখী হওয়া যায়।
২.৪ ‘মরণ এলে হঠাৎ দেখি / মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে জীবনের এক কঠিন সত্যকে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ কখনো-কখনো জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে মৃত্যু কামনা করে। সে মনে করে মৃত্যুতেই বুঝি সমস্ত দুঃখের অবসান। কিন্তু মৃত্যু সামনে এসে দাঁড়ালে মানুষ আকুল হয়ে ভাবে এ জীবন বড়ো সুন্দর। জীবনে কঠিন পরিস্থিতি চিরস্থায়ী নয়, কঠিন পরিস্থিতি কেটে গিয়ে আবার ভালো সময় আসে। তাই মানুষ আর প্রকৃতির মাঝে বেঁচে থাকাই জীবনের চরম সার্থকতা।
২.৫ ‘তাহারে বাদ দিয়েও দেখি / বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর।’ — উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে জীবনের কোন সত্য প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে জীবনের এক গভীর সত্য প্রকাশিত হয়েছে। এই বিশ্ব সংসারে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কোনো ব্যক্তি আমাদের প্রিয় হলেও অপরিহার্য নয়। তাই প্রিয়জনের বিচ্ছেদে ব্যক্তিমানুষের শোক হলেও বিশ্ব সংসার কিন্তু তার স্বাভাবিক নিয়মেই চলে। সে কথাই এখানে বোঝানো হয়েছে।
২.৬ কীভাবে মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় কবি বলেছেন যদি আমরা চাহিদার ওপরই বেশি নজর দিই তাহলে কোনোদিনই সুখী হতে পারব না। তাই আমাদের জীবনের চাওয়া- না পাওয়া, দুঃখ, হতাশা ঝেড়ে ফেলে প্রয়োজনে কেঁদে মনের বোঝা হালকা করতে হবে। জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতায়, ভালো মন্দ যাই আসুক সত্যকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে। এভাবেই মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে।
২.৭ ‘দোহাই তবে এ কার্যটা / যত শীঘ্র পারো সারো।’ কবি কোন কার্যের কথা বলেছেন? সেই কার্যটি শীঘ্র সারতে হবে কেন ?
উত্তর:-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে কবি বলতে চেয়েছেন, জীবনের না-পাওয়ার হিসাব কষতে কষতে অনেক সময় আমরা পাওয়া সুখটুকুও হেলায় হারিয়ে ফেলি আর না পাওয়ার বেদনায় হাহাকার করি। ‘এ কার্যটা’ বলতে এখানে কবি হাহাকার করে সময় নষ্ট করার কথা বলেছেন।
ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য হাহাকার করে সময় নষ্ট করা অর্থহীন। সমস্ত দুর্ভাগ্যকে জয় করে মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে নিজের উদ্যমে। তাই কবি না-পাওয়ার হাহাকারের মতো অনুচিত কাজে অযথা সময় নষ্ট করে সেটি শীঘ্র শেষ করতে বলেছেন।
২.৮ কখন আঁধার ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় কবি বলেছেন, জীবনের ব্যর্থতার কষ্ট কেঁদে চোখের জলের মধ্যে লাঘব করে মনকে বুঝিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এভাবেই আঁধার ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব বা জীবনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলা সম্ভব।
২.৯ ‘ভুলে যা ভাই, কাহার সঙ্গে / কতটুকুন তফাত হলো।’ – এই উদ্ধৃতির মধ্যে জীবনের চলার ক্ষেত্রে কোন পথের ঠিকানা মেলে?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি জীবনের এক গভীর সত্যকে তুলে ধরেছেন। মানুষের চেহারা ও প্রকৃতির মতোই তাদের চাওয়া পাওয়া গুলোও ভিন্ন-ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে কে কত বেশি পেল, জীবন পথে কে কতখানি এগিয়ে গেল এইসব তুলনামূলক চিন্তা জীবনের নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে । এগুলো ভুলে গিয়ে জীবনকে মঙ্গলময় করে তোলার, আলোকিত করার যে পথ সেই পথে এগিয়ে যেতে হবে । সেই পথের সন্ধান মেলে প্রশ্নে উদ্ধৃত উদ্ধৃতির মাধ্যমে।
২.১০ ‘অনেক ঝঞ্ঝা কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরেতে, – ‘ঝঞ্ঝা কাটিয়ে আসা’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি জীবনের এক গভীর সত্যকে প্রকাশ করেছেন। জীবনের নানা ওঠাপড়া জয় করে আমরা সাফল্য অর্জন করি। জাহাজ যেমন তার দীর্ঘ পথে অনেক ঝঞ্ঝা বা ঝড় পেরিয়ে, অনেক প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে বন্দরে নিরাপত্তায় আসে। মানুষকেও তেমন অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সাফল্য লাভ করতে হয়। এই বাধা-বিপত্তি জয় করাকেই ‘ঝঞ্ঝা কাটিয়ে আসা’ বলা হয়েছে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে।’ – তুমি কি কবির সঙ্গে একমত? জীবনে চলার পথে নানা বাধাকে তুমি কীভাবে অতিক্রম করতে চাও ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশের বক্তব্যে আমি কবির সাথে একমত।
জীবনে চলার পথে নানা বাধাবিপত্তি আসতেই পারে ছেলেবেলা থেকেই এই শিক্ষায় মনকে তৈরি করতে হবে। হঠাৎ পাওয়া আনন্দে আত্মহারা হলে চলবে না, তেমনি সামান্য দুঃখ-কষ্টে ভেঙে পড়লেও চলবে না। জীবনের ওঠা-নামাকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে। বাধাবিপত্তি আসলে তা এড়িয়ে না গিয়ে সেগুলির সম্মুখীন হতে হবে। জীবনে ভালো মন্দ যাই আসুক সত্যকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে। এভাবেই আমি জীবনে চলার পথে নানা বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করতে চাই।
৩.২ ‘মনেরে আজ কহ যে, / ভালো মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে।’ — কবির মতো তুমি কি কখনও মনের সঙ্গে কথা বলো? সত্যকে মেনে নেবার জন্য মনকে তুমি কীভাবে বোঝাবে – একটি পরিস্থিতি কল্পনা করে বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে কবি জীবনে ভালো মন্দ যাই আসুক সত্যকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার জন্য মনকে বোঝাতে বলেছেন। কবির মতো আমিও মাঝে মাঝে নিজের সঙ্গে মনের কথা বলি।
জীবনে আমাদের নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু চলার পথে বাধা পেয়ে থমকে গেলে চলবে না। যেমন প্রতি বছর পরীক্ষায় আমার ফল ভালো নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে, হতাশ না হয়ে পরীক্ষায় খারাপ ফল হওয়ার কারণ খুঁজে বার করতে হবে। আরও পরিশ্রম করতে হবে। নতুন উদ্যমে নিজেকে তৈরি করতে হবে আগামী পরীক্ষার জন্য।
৩.৩ ‘তেমন করে হাত বাড়ালে / সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’ – ‘তেমন করে’ কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও। এখানে কবি কী ধরনের সুখের ইঙ্গিত করেছেন – লেখো।
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলাকেই ‘তেমন করে’ হাত বাড়ানো বলেছেন।
আমরা যদি নিজেদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে পারি, তবে দুঃখ-দুর্দশার সংকীর্ণ জগতের বাইরে থাকা বিশ্বভুবনকে মস্ত বড়ো বলে মনে হয়। তখন আকাশ হয়ে ওঠে আরও নীল, ভোরের আলো মধুর হয়ে ওঠে, মৃত্যুর চেয়ে জীবনকেই পরম বরণীয় বলে মনে হয়। নিজের সুখে সমস্ত জগৎকেই তখন সুখী বলে বোধ হয়।
৪. নীচের শব্দগুলির দল বিশ্লেষণ করে মুক্ত দল ও রুদ্ধ দল চিহ্নিত করো :
বোঝাপড়া, কতকটা, সত্যেরে, পাঁজরগুলো, বিশ্বভুবন, অশ্রুসাগর।
বোঝাপড়া – বো (মুক্তদল)- ঝা (মুক্তদল)- প(মুক্তদল) ড়া (মুক্তদল)। কতকটা- ক(মুক্তদল) – তক্ (রুদ্ধদল) – টা(মুক্তদল)। সত্যেরে – সত্ (রুদ্ধদল) – তে (মুক্তদল) – রে (মুক্তদল)। পাঁজরগুলো- পাঁ(মুক্তদল) -জর্ (রুদ্ধদল)- গু(মুক্তদল)- লো (মুক্তদল)। বিশ্বভুবন- বি(রুদ্ধদল) -শো(মুক্তদল) -ভু(মুক্তদল) -ব(রুদ্ধদল)। অশ্রুসাগর- অশ্রু(রুদ্ধদল) -রু(মুক্তদল) – সা(মুক্তদল) -গর্(রুদ্ধদল)।
৫. নীচের প্রতিটি শব্দের তিনটি করে সমার্থক শব্দ লেখো :
মন, জখম, ঝঞ্ঝা, ঝগড়া, সামান্য, শঙ্কা, আকাশ।
মন – অন্তর, চিত্ত, হৃদয়।
জখম- আঘাতপ্রাপ্ত, আহত, বিক্ষত।
ঝঞ্ঝা- ঝড়, তুফান, ঝটিকা। ঝগড়া- কলহ, বিবাদ, তর্কাতর্কি ।
সামান্য- অল্প, কম, নগন্য।
শঙ্কা- ভয়, ডর, আতঙ্ক ৷
আকাশ- গগন, অম্বর, অন্তরীক্ষ ।
৬. নীচের প্রতিটি শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে শব্দজোড় তৈরি করে বাক্য রচনা করো :
আঁধার, সত্য, দোষ, আকাশ, সুখ।
আঁধার (আলো) – ভোরের আলো-আঁধার পথে হেটে চলেছে অনিক।
সত্য( মিথ্যা) – যুক্তি দিয়ে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা উচিত।
দোষ (গুণ)- দোষ-গুণ নিয়েই মানুষের চরিত্র।
আকাশ (পাতাল) – আকাশ-পাতাল না ভেবে কাজে মন দাও।
সুখ (দুঃখ) – সুখ-দুঃখ জীবনের অঙ্গ।
আরো পড়ুন
বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Bojhapora Question Answer | Class 8 | Wbbse
অদ্ভুত আতিথেয়তা প্রশ্ন উত্তর | Advut Atitheota Question Answer | Class 8 | Wbbse
পরবাসী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | বিষ্ণু দে | Porobasi Class 8 Question Answer | Wbbse
চিঠি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Chithi Class 8 Question Answer | Wbbse
গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর | জগদীশচন্দ্র বসু | Class 8 Bengali Gacher Kotha Question Answer | WBBSE
নাটোরের কথা প্রশ্ন উত্তর | অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Natorer Kotha Class 8 Question Answer | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।