প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 8 এর বনভোজনের ব্যাপার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা বনভোজনের ব্যাপার গল্প রয়েছে। গল্পের শেষে যে সব প্রশ্ন গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
বনভোজনের ব্যাপার
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
হাতে কলমে
১.১ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের কোন বিখ্যাত চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা ?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের টেনিদা চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা।
১.২ তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম, ‘শিলালিপি’ ও ‘লালমাটি’।
২. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ বনভোজনের উদ্যোগ কাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে টেনিদা, হাবুল, প্যালা ও ক্যাবলার মধ্যে বনভোজনের উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল।
২.২ বনভোজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে, বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটি স্টেশন পরে ক্যাবলার মামার বাগানবাড়িতে বনভোজনের আয়োজন হয়েছিল।
২.৩ বনভোজনের জায়গায় কীভাবে যাওয়া যাবে?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে, শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের রেলে চেপে বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পর নামতে হবে। তারপর পায়ে হেঁটে প্ৰায় মাইল খানেক গেলে পৌঁছনো যাবে ক্যাবলার মামার বাগানবাড়ি অর্থাৎ বনভোজনের জায়গায় ।
২.৪ রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব কে নিয়েছিল?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল প্যালা।
২.৫ বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী কারা সাবাড় করেছিল?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী সাবাড় করেছিল বাঁদরের দল।
২.৬ কোন খাবারের কারণে বনভোজন ফলভোজনে পরিণত হলো?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে বনভোজনের খাবার নানা কারণে হাতছাড়া হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাকা জলপাই খাওয়ার কারণে বনভোজন ফলভোজনে পরিণত হল।
৩. নীচের শব্দগুলির সন্ধিবিচ্ছেদ করো :
মোগলাই, রান্না, বৃষ্টি, পরীক্ষা, আবিষ্কার
উত্তর:-
মোগলাই = মোগল + আই
রান্না = রাঁধ + না
বৃষ্টি = বৃষ্ + তি
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা
আবিষ্কার = আবিঃ + কার
৪. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করো :
বিচ্ছিরি, প্ল্যান-ট্যান, লিস্টি, ভদ্দর, ইস্টুপিড
উত্তর:-
বিশ্রী > বিচ্ছিরি (সমীভবন)
প্ল্যান > ট্যান (অনুকার শব্দ)
লিস্ট > লিস্টি (অন্ত্যস্বরাগম)
ভদ্র > ভদ্দর (পরাগত সমীভবন)
স্টুপিড > ইস্টুপিড (আদিস্বরাগম)
৫. নীচের বাক্যগুলি প্রত্যেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত। বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁজে নিয়ে লেখো :
৫.১ আর সে গাট্টা, ঠাট্টার জিনিস নয়— জুতসই লাগলে স্রেফ গালপাট্টা উড়ে যাবে।
উত্তর:- এই বাক্যে ‘ট্টা’ ধ্বনিটি একাধিকবার বাক্যে প্রযুক্ত হয়েছে। একে বৃত্তানুপ্রাস অলংকার বলে, যার প্রয়োগ এখানে লক্ষণীয় I
৫.২ দ্রাক্ষাফল অতিশয় খাট্টা।
উত্তর:- ‘দ্রাক্ষাফল’ ও ‘অতিশয়’ শব্দদুটি তৎসম শব্দ। আবার খাট্টা শব্দটি হিন্দি শব্দ। অর্থাৎ একই বাক্যের মধ্যে তৎসম ও হিন্দি শব্দের সহাবস্থানের ফলে এখানে বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৫.৩ আহা— হা চৈইত্যা যাইত্যাছ কেন ?
উত্তর:- উদ্ধৃত বাক্যের ‘চৈইত্যা’ ও ‘যাইত্যাছ’ শব্দবন্ধে অপিনিহিতির প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। এই ধরনের বাক্য বঙ্গালি উপভাষায় বেশি প্রযুক্ত হতে দেখা যায়।
৫.৪ এক চড়ে গালের বোম্বা উড়িয়ে দেব।
উত্তর:- ‘বোম্বা’ শব্দের আক্ষরিক কোনো অর্থ নেই। এটাকে ছেলেছোকড়াদের ভাষা বা রোয়াকের ভাষা বলা যেতে পারে। অন্যদের ওপর টেনিদার কর্তৃত্ব প্রকাশের জন্য শব্দটি যথাযথ।
৬. ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো :
বনভোজন, দলপতি, বেরসিক, দ্রাক্ষাফল, রেলগাড়ি
উত্তর:-
বনভোজন = বনে ভোজন-অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস।
দলপতি = দলের পতি-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
বেরসিক = বে (নয়) রসিক- না তৎপুরুষ সমাস।
দ্রাক্ষাফল = দ্রাক্ষা নামক ফল–মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস ।
রেলগাড়ি = রেল বাহিত গাড়ি—মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
৭. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো :
৭.১ লাফিয়ে উঠে টেনিদা বাগানের দিকে ছুটল। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:- লাফিয়ে উঠে টেনিদা যেদিকে ছুটল সেদিকে বাগান।
৭.২ চোখের পলকে বানরগুলো গাছের মাথায়। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:- যখন চোখের পলক পড়ল তখন বানরগুলো গাছের মাথায় ৷
৭.৩ দুপুরবেলায় আসিস। বাবা-মেজদা অফিসে যাওয়ার পরে। (একটি সরল বাক্যে)
উত্তর:- বাবা-মেজদা অফিসে যাওয়ার পরে দুপুরবেলা আসিস।
৭.৪ ইচ্ছে হয় নিজে বের করে নাও। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:- যদি ইচ্ছে হয়, তবে নিজে বের করে নাও।
৭.৫ টেনিদা আর বলতে দিলে না। গাঁক গাঁক করে চেঁচিয়ে উঠল। (একটি সরল বাক্যে)
উত্তর:- টেনিদা আর বলতে না দিয়ে গাঁক গাঁক করে চেঁচিয়ে উঠল।
৮. নীচের শব্দগুলির সমার্থক প্রবচনগুলি খুঁজে বের করো এবং তা দিয়ে বাক্যরচনা করো:
চুরি, নষ্ট হওয়া, পালানো, গোলমাল করে ফেলা, লোভ দেওয়া, চুপ থাকা
উত্তর:-
চুরি (হাত সাফাই করা) = রমেশ দিদিমার ঘর থেকে আমের আচার হাতসাফাই করেছিল।
নষ্ট হওয়া (বারোটা বাজা) = রামু খিচুড়ির বারোটা বাজিয়ে ছাড়ল।
পালানো (হাওয়া হওয়া) = আম চুরি করে ধরা পড়ার ভয়ে অনিক নিমেষে হাওয়া হয়ে গেল।
গোলমাল করে ফেলা (তালগোল পাকানো) = প্রিয়াঙ্কা টিভি দেখতে দেখতে অঙ্ক করতে গিয়ে সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে।
লোভ দেওয়া (নজর দেওয়া) = অপরের সম্পত্তিতে নজর দেওয়া ভালো নয়।
চুপ থাকা (মুখে কুলুপ আঁটা) = মার খাওয়ার ভয়ে রাতুল স্যারের সামনে মুখে কুলুপ এটে রইল।
৯. টীকা লেখো :
কলম্বাস, লেডিকেনি, বিরিয়ানি, ইউরেকা
উত্তর:-
কলম্বাস : ক্রিস্টোফার কলম্বাস ইতালির জেনোয়া নগরে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি ছিলেন বিখ্যাত ইউরোপীয় নাবিক। কলম্বাস ভারতবর্ষ ও তার নিকটবর্তী দ্বীপপুঞ্জের বর্ণনা পেয়ে সেই দ্বীপগুলিতে যাওয়ার সংকল্প নেন। কলম্বাস কিউবা আবিষ্কার করেন। তবে আমেরিকায় নামার পর কলম্বাস ভেবেছিলেন তিনি ভারতে পৌঁছেছেন।
লেডিকেনি : লেডিকেনি বা লেডি কেনি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের একটি জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি। এটি একটি হালকা ভাজা লালচে-বাদামী গোলাকার মিষ্টি যা ছানা এবং ময়দা দিয়ে তৈরি এবং চিনির তরল রসের মধ্যে ভেজানো থাকে। ১৮৫৬-৬২ সালের মধ্যে ভারতে গভর্নর-জেনারেল চার্লস ক্যানিংয়ের স্ত্রী লেডি ক্যানিংয়ের নামে নামকরণ করা হয় মিষ্টির এবং সকলের কাছে মিষ্টিটি লেডিকেনি নামে পরিচিত হয়।
বিরিয়ানি : বিরিয়ানি বা বিরানি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশে প্রচলিত এক বিশেষ প্রকারের খাবার যা সুগন্ধি চাল, ঘি, গরম মশলা এবং মাংস মিশিয়ে রান্না করা হয়। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মাধ্যমে উৎপত্তি লাভ করে। এটি সাধারনত বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়।
ইউরেকা : শব্দটি গ্রিক ‘heureka’ থেকে এসেছে। যার অর্থ—“আমি খুঁজে পেয়েছি। ইংরেজিতে I have found it. সাধারণত কোনো বিশেষ কিছু হঠাৎ আবিষ্কৃত হলে, আমরা এই শব্দটি প্রয়োগ করে থাকি। আর্কিমিডিস একবার একটি চৌবাচ্চায় নামার সঙ্গে সঙ্গে তার কিছুটা জল উপচে পড়ে যায়, তিনি বুঝতে পারেন শরীরের আয়তনের সমপরিমাণ জল চৌবাচ্চা থেকে অপসারিত হয়েছে। তখন তিনি ‘ইউরেকা’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন, যার অর্থ হল ‘পেয়েছি। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শব্দভাণ্ডারে এই শব্দটি বহুলভাবে প্রচলিত হয়।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও :
১০.১ বনভোজনের প্রথম তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল? তা বাতিল হলো কেন ?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে বনভোজনের জন্য প্রথমে যে তালিকাটি তৈরি হয়েছিল তাতে ছিল বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, দু রকমের কাবাব ও মাছের চপ।
প্রথম তালিকার খাবারগুলো তৈরি করতে গেলে বাবুর্চি, চাকর, একটা মোটর লরি, আর দুশো টাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু চারজন মিলে চাঁদা উঠেছিল মাত্র দশ টাকা ছ – আনা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রথম তালিকাটি বাদ দেওয়া হয়।
১০.২ বনভোজনের দ্বিতীয় তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল এবং কে কী কাজের দায়িত্ব নিয়েছিল?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে বনভোজনের দ্বিতীয় তালিকায় ছিল খিচুড়ি, আলুভাজা, পোনা মাছের কালিয়া, আমের আচার, রসগোল্লা, লেডিকেনি ও রাজহাঁসের ডিমের ডালনা। রাজহাঁসের ডিম জোগাড়ের দায়িত্ব ছিল প্যালার উপর। ক্যাবলাকে আলু ভাজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পোনা মাছের কালিয়া রাঁধার দায়িত্বে ছিল প্যালা। দিদিমার ঘর থেকে আমের আচার চুরি করে নিয়ে আসার কথা ছিল হাবুলের। রসগোল্লা ও লেডিকেনি ধারে ম্যানেজ করা হবে এমনটা ঠিক হয়েছিল।
১০.৩ প্যালার রাজহাঁসের ডিম আনার ঘটনাটির বর্ণনা দাও।
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনতে গিয়েছিল ভন্টাদের বাড়ি। পাড়ায় ভন্টাদের বাড়িতে গোটাকয়েক রাজহাঁস ছিল। একারণে দু-আনার পাঁঠার ঘুগনি আর ডজনখানেক ফুলুরি খাইয়ে ভন্টাকে হাত করে প্যালা। তবে শর্ত ছিল প্যালাকে নিজের হাতে ডিম বের করে নিতে হবে। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা মতো ভন্টার বাবা ও মেজদা অফিসে গেলে দুপুরবেলা ভন্টাদের বাড়ি যায় প্যালা। উঠোনে কাঠের বাক্সের ভিতরে সার সার খুপরি। দুটো রাজহাঁস সেখানে ডিমে তা দিচ্ছিল। প্যালা ডিমের জন্য বাক্সের ভিতরে হাত ঢোকাতেই রাজহাঁস দিল তার হাতে কামড়ে। যন্ত্রনায় প্যালা চিৎকার করে উঠলে ভন্টার মা সেখানে চলে আসে প্যালা চোঁচা দৌড় লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এরফলে প্যালা আর রাজহাঁসের ডিম জোগাড় করতে না পেরে গোটাকয়েক মাদ্রাজি ডিম কেনে বনভোজনের জন্য।
১০.৪ ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে গিয়ে তাদের কী কী বিপদ ঘটেছিল ?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে ট্রেন থেকে নেমে প্রায় মাইলখানেক হেঁটে গেলে ক্যাবলার মামার বাগানবাড়ি। সেখানেই হবে বনভোজন। তবে আগের রাত্রে বৃষ্টি হওয়ায় এবং রাস্তা কাঁচা এঁটেল মাটির হওয়ায় তা খুবই পিচ্ছিল ছিল। একারণে তিন পা যেতে -যেতেই হাবুল আছাড় খেল ও তার হাতের ডিমের পুঁটলি কুঁকড়ে গিয়ে হলুদ রস পড়তে লাগল। এর পরেপরেই প্যালা ও টেনিদার মাটিতে পড়ে গিয়ে কাদামাখা অবস্থা হল এবং আমের আচার, রসগোল্লারা মাটিতে লুটোপুটি খেল। অবশিষ্ট রইল শুধু চাল-ডালের পুঁটলিটি ও পোনামাছগুলি।
১০.৫ ‘মাছের কালিয়ার তিনটি বেজে গেল’— মাছের কালিয়া সম্পর্কে এ রকম বলার কারণ কী?
উত্তর:- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে প্রশ্নে উদ্ধৃত মাছের কালিয়া রাধার দায়িত্ব ছিল প্যালার। টেনিদা লিস্ট বের করে প্যালাকে সর্বপ্রথম মাছের কালিয়া রাঁধার নির্দেশ দেয়। ক্যাবলার মা মাছ কেটে লবণ ও অন্যান্য জিনিস মাখিয়ে দিয়েছিলেন। প্যালা কড়াইতে তেল চাপিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা তেলে মাছ ঢেলে দেওয়ায় কড়াই ফেনায় পরিপূর্ণ হয়ে অতগুলি মাছ একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে যায়। মাছের কালিয়া পরিণত হয় মাছের হালুয়াতে। আসলে কাঁচা তেলে মাছ দেওয়ায় মাছের এই অবস্থা হয়েছিল। এই জন্যই ক্যাবলা ডিম, আমের আচার ও রসগোল্লার পরিণতির সঙ্গে তুলনা করে মাছের কালিয়ার সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিল।
আরো পড়ুন
বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Bojhapora Question Answer | Class 8 | Wbbse
অদ্ভুত আতিথেয়তা প্রশ্ন উত্তর | Advut Atitheota Question Answer | Class 8 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।