ভারতে কাগজ শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি লেখো ?

অথবা, ভারতে কাগজ শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি কি কি ? অথবা,ভারতে কাগজ শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি আলােচনা করাে ? উত্তর: ভারতে কাগজ শিল্প গড়ে ওঠার কারণসমূহ:- 1. কাঁচামালের জোগান : হিমালয়ের পার্বত্য এলাকা থেকে নরম কাঠ এবং অন্যান্য স্থান থেকে সাবাই ঘাস, বাঁশ, আখের ছিবড়া, নগর-মহানগরী থেকে পরিত্যক্ত কাগজ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের পর্যাপ্ত জোগান … Read more

মৃত্তিকা গঠনের প্রক্রিয়াগুলি আলোচনা করো।

ভূমিকা:- ভূত্বকের উপরিভাগে ক্ষয়িত ও বিকৃত শিলা চূর্নের সাথে বিভিন্ন প্রকার জৈব ও অজৈব বস্তুর সংমিশ্রণে গঠিত নরম আবরণ স্তরকে সাধারণভাবে মৃত্তিকা বলা হয়। আবহবিকারের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের শিলা সমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যে শিথিল শিলা চূর্ণের সৃষ্টি করে  তা বহুকাল ধরে বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে মৃত্তিকাতে পরিণত হয়। আর যে জটিল প্রক্রিয়ায় আবহবিকার জাত শিলাচূর্ণ … Read more

মৃত্তিকা গঠন (Soil Structure) কাকে বলে? অথবা, মাটির গঠন বলতে কী বোঝো? মৃত্তিকা গঠনের গুরুত্ব লেখো।

মৃত্তিকা গঠন (Soil Structure) কাকে বলে? অথবা, মাটির গঠন বলতে কী বোঝো? উত্তর: মাটির মধ্যে বিভিন্ন আয়তনের কণা ও জৈব পদার্থের কণাগুলি পৃথক পৃথকভাবে থাকেনা। মৃত্তিকা কণাগুলি সঙ্গবদ্ধ হয়ে মাটির যে বিন্যাস গড়ে তোলে তাকে মৃত্তিকা গঠন বলে। মৃত্তিকা গঠনের গুরুত্ব লেখো। উত্তর: মৃত্তিকা গঠনের গুরুত্বগুলি নীচে আলোচনা করা হল – মৃত্তিকায় বাতাসের উপস্থিতি: মৃত্তিকা … Read more

আর্দ্র কৃষি ও শুষ্ক কৃষির পার্থক্য লেখ ?

প্রশ্ন: আর্দ্র কৃষি ও শুষ্ক কৃষির পার্থক্য লেখ ? অথবা, আর্দ্র ও শুষ্ক কৃষির পার্থক্য কি ? উত্তর: আর্দ্র কৃষি শুষ্ক কৃষি সংজ্ঞা  পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে কেবল নিয়মিত ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিরজলের উপর নির্ভর করে কৃষিব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তাকে আর্দ্র কৃষি বলে। বছরে 50 সেমির কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে খরাসহনশীল শস্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে শুষ্ক কৃষি … Read more

শস্যাবর্তন বা চক্ৰকৃষি কাকে বলে? শস্যাবর্তন এর বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? শস্যাবর্তন এর গুরুত্ব বা সুবিধা উল্লেখ করাে।

প্রশ্ন: শস্যাবর্তন বা চক্ৰকৃষি কাকে বলে? শস্যাবর্তন এর বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? শস্যাবর্তন এর গুরুত্ব বা সুবিধা উল্লেখ করাে। অথবা, শস্যাবর্তন বা চক্ৰকৃষি কী? এর বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্ব বা সুবিধা উল্লেখ করাে। উত্তর: শস্যাবর্তন বা চক্ৰকৃষি:- উৎপাদন বৃদ্ধি ও জমির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য কোনাে জমিতে ধারাবাহিকভাবে পরপর বিভিন্ন শস্যের পর্যায়ক্রমিক চাষকে শস্যাবর্তন বা চক্ৰকৃষি … Read more

সমাজসংস্কার আন্দোলনে বিদ্যাসাগর এর ভূমিকা আলােচনা কর ?

অথবা, সমাজ সংস্কারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা বা অবদান অথবা, বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অথবা, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অথবা, সমাজ সংস্কারক রূপে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উত্তর: ভূমিকা : উনিশ শতকে বাংলার সমাজসংস্কার আন্দোলনের ইতিহাসে যে-সমস্ত জ্যোতিষ্ক চিরস্মরণীয় অবদান রেখেগেছেন, তাঁদের মধ্যে একজন বাস্তববাদী ও মানবতাবাদী সংস্কারক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তৎকালীন … Read more

জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড এর প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব আলোচনা করো

জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ খ্রিঃ বিচারপতি সিডনি রাওলাটের নেতৃত্বে ৫ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন ব্রিটিশ সরকার ভারতে নিয়োগ করে। এই কমিশন রাওলাট কমিশন বা সিডনি কমিশন নামে পরিচিত। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কুখ্যাত ও দমনমূলক রাওলাট আইন পাশ হলে এই আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে থাকে। এর মধ্যে পাঞ্জাবে … Read more

লখনৌ চুক্তির শর্তাবলি উল্লেখ করাে। এই চুক্তির গুরুত্ব আলােচনা করাে?

ভূমিকা: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতে জাতীয় আন্দোলন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ই পারস্পরিক বিরোধ ভুলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। আর এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার জন্য ১৯১৬  খ্রিস্টাব্দে লখনৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইতােপূর্বে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে বােম্বাই (মুম্বাই)-তে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ একসুরে ব্রিটিশ সরকারের বিবিধ নীতির … Read more

মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে। এই আইনের ত্রুটিগুলি উল্লেখ করাে ?

ভুমিকা: ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক আইন প্রবর্তন করেছিল। একই ভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন ভারতে একাধিক বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ঘটনা এবং ১৯০৯ খ্রিঃ মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন ভারতীয়দের কোনো আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। তাই পুনরায় ভারতীয়রা শাসনতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। আর সেই সময় ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের জন্য শাসনতান্ত্রিক সুবিধার্থে ১৯১৯ খ্রিঃ … Read more

চীনের ৪ঠা মে আন্দোলনের কারণ ও ফলাফল আলােচনা করাে।

সূচনা: বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে চিনে রাজতন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবীদের মধ্যে প্রবল সংগ্রাম শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে চিনে বিদেশিদের আধিপত্যের অবসানের লক্ষ্য সেদেশে প্রবল এক বৌদ্ধিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ৪ মে-র আন্দোলন (May Fourth Movement) নামে পরিচিত। ৪ মে-র আন্দোলনের কারণ [1] ইউয়ান-সি-কাই-এর নৃশংসতা: চিনে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের … Read more